মৃত্যুঞ্জয়ী-
এসেছিল এক উদ্ভাসিত
রবির কিরণে পঁচিশে বৈশাখে
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অন্দরে ।


তাঁরই হাত ধরে বাংলা তথা বাঙালী জ্বালিয়েছিল
অসংখ্য প্রদীপ, সাহিত্যের প্রতিটি ধাপে
সারা বিশ্বের কাছে সন্মানিত
বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডার হয়েছিল সঞ্চিত
রত্ন সম্ভার হয়েছিল অফুরন্ত,
একাধারে কবি, নাট্যকার, সঙ্গীত-স্রষ্টা
অপরধারে উপন্যাসিক, প্রবন্ধকার
প্রথম কবিতা তাঁর বয়স যখন আট
ভানুসিংহ ছদ্মনামে খ্যাত হয়ে
ষোলো বছর বয়সে তাঁর আত্মপ্রকাশ
শুরু হয়েছিল বাংলা সাহিত্যের দিগন্ত-বিকাশ,
রবিতে হয়েছিল মুগ্ধ সারা বিশ্ব গীতাঞ্জলী রচনায়
নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি এক যুগান্তকারী ভাবনায়
আবালবৃদ্ধবণিতা একত্রে গাইল তাঁরই রচিত গান
দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিণত হল প্রাণ  
ব্রিটিশদের গুলিবর্ষণে কেঁপেছিল জালিয়ানওয়ালাবাগ  
এক লহমায় ত্যাগ করেছিল ‘নাইট’ পদ,
বাংলা তথা বিশ্ব মনে রাখবে মৃত্যুঞ্জয়ী রবিকে
নৃত্য-গীত, কবিতা গানে ভরে থাক অবিরত
হৃদয়ে হৃদয়ে বিনিময় হোক রবীন্দ্র-চেতনা
বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়ে চলুক
রবির পথ ধরে অফুরন্ত অনন্ত ভাণ্ডারে ।


মৃত্যুঞ্জয়ী-
চলে গিয়েছিল স্বমহিমায়
নিজস্ব জ্যোতিতে বাইশে শ্রাবণে
সারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ রেখে ।।  


          ***


( বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে নিবেদন )