ধিকি ধিকি জ্বলছে আগুন
আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে
উঠছে লেলিহান শিখা,
ডোল-ডগর করতালের ধ্বনি
চাপা দিতে পারছে না
অসহায় আর্তের চিৎকার -
“আমায় মেরো না, মেরো না
আমি বাঁচতে চাই
তোমাদের পায়ে পড়ি গো  
আমি মরবো না, মরবো না" ।


শোনা যায় কর্কশ কন্ঠের চিৎকার-
“তোকে সতী হতেই হবে রে  
মহা পুন্য হবে তোর
বাজাও আরো জোরে ঢোল-করতাল
জয় সতী মায়ের জয়” ।
দাউ দাউ করে জ্বলছে চিতার আগুন
কয়েক ঘন্টায় মৃত বৃদ্ধর সাথে
শেষ হয়ে গেল তরতাজা
ফুলের মত একটি সুন্দর মাতৃমূর্তি ।


চারিদিকে ভারতবর্ষ জুড়ে চলল বিপ্লব
'বন্ধ করো এ অরাজকতা
বন্ধ কর এই সতীদাহ প্রথা’  
নেতৃত্বের মুখ্য ভূমিকায় অগ্রণী হয়ে
এগিয়ে এলেন নারী-হিতৈষী পরম পুরুষ
প্রনম্য রাজা রামমোহন রায়,  
চলল অনেক সংগ্রাম
অবশেষে ১৮২৯ এর ৪ই ডিসেম্বর
বন্ধ হলো মরণ, পৈশাচিক সতীদাহ ।
               *****
( সতীদাহ প্রথা বন্ধের মহান কারিগর রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিনে রইল আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলী )
                 *****