গোধূলির শেষ রক্ত-রাগের ছ'টায়
প্রতিচ্ছবি ভাসে নদীর খরস্রোতায়,
ছলছল দু'টি চোখের আকুতিতে
ভালোবাসা আচ্ছন্ন হয় বিহ্বলতায় ।


ছিল সেদিন চৈত্র মধুমাস
পূবালী হাওয়া দাপটে হল ভূলুণ্ঠিত,
দু'টি চোখ গভীর আকুলতায়
হয়ে গেল মনের কোণে অবগুণ্ঠিত ।


সেই দুটি চোখে ছিল বিরহী-প্রেম
ছিল রক্তিম-পলাশের মায়ার কল্পনা,
প্রাণের তুলির ছোঁয়ায় মোহিত হত
সবুজ মনের স্ফুরণে জমা যত জল্পনা ।


তারার মিটিমিটি আলোর স্নিগ্ধতা
আঁধারে দেখিয়েছিল ঘরে ফেরার পালা,  
সুন্দর ভালোবাসার ভুবনে দু'টি চোখ
এঁকেছিল একরাশ মুগ্ধতার মালা ।


এক অচেনা পৃথিবীর দেখা পেয়ে দু'চোখ
হাসনুহেনার গন্ধ মেখে হারিয়েছিল বনে,
সুপ্ত মানসে গেয়েছিল স্নিগ্ধ সঙ্গীত
বনপাতার রাগ-রাগিনীর সংমিশ্রণে ।

ঘনায় তমসাচ্ছন্ন রাতের ছায়া
নেশা জাগায় মিষ্টি চাঁদের সোহাগ,
মেঘের আঁচলের বুক চিরে ঐ দেখা যায়
দু'টি চোখে বিচ্ছুরিত আলোর মিষ্টি দাগ।।
                      *******