যখন বদলে গেছিল সমস্ত স্বর্গীয় পরিবেশ,
যখন বদলে গেছিল দেব-দেবীর কর্মকান্ড,
যখন আমার আমি বদলে গেছিল পরিস্হিতির অট্টহাস্যে ,
যখন সমস্ত ধরাধামে বিরাজ করছিল অশরীরি আতঙ্ক,
যখন প্রতি মূহুর্তে আমার শ্বাস আটকে যাচ্ছিল জলের তলদেশে,
আমি ভয় পেয়েছিলাম ,
আমি সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেছিলাম ।।
যখন রোজনামচার নিষ্ঠুর আষ্ফালন আমাকে নিয়মিতভাবে শোসন করছিল,
যখন আমার প্রত্যেকটা দোষ-গুণ উল্কাবেগে খসে পড়ছিল একেএকে,
যখন পূর্ণিমার আলোকে আলোকিত হয়ে উঠেছিল আমার ধ্বংসাবশেষ ,
যখন সুরের গভীর থেকে অগভীরে ,
প্রতিটা সোম এর মাঝে একবার করে আমার পরাজয়ের ডংকা বেজে উঠতো,
আমি বিশ্রী রকমের ভীত হয়ে পড়েছিলাম,
হ্যাঁ আমি ভয় পেয়েছিলাম ।।
বারংবার আমি চেয়ে গেছি ,
আঁকড়ে ধরতে কোন কিছু,কোন মানুষ,
কোন দেবী, কোন শ্বাপদ
অথবা কোন মৃত গাছের অংশ।
কেউ থাকেনি, কাউকে রাখেনি কেউ, একে অপরের সাথে বিতন্ডা-কোলাহলে ভুলে গেছে আমায়,
আমি অবহেলিত হয়েছি আমার কাছে ,
তাদের কাছে,
বারবার-বারংবার ।।
যারা জানে তারা জানে ,
আমি জানতাম না,
এই প্রবাহের প্রতিটা বাঁক, ঘূর্ণন
আমায় সন্ত্রস্ত করে যাবে,
আমার সমস্ত উপলব্ধি
এক নিমেশে মানুষের অগচরে,
কোন এক একাকী প্রস্তরখন্ডের মত
সমুদ্রের তলদেশে কাদা মেখে পড়ে থাকবে।
সেই একাকী প্রস্তরখন্ডটি
সহস্রবছর পর আমাকে ভাবিয়ে তুলবে,
একটি কবিতা ক্রন্দনরত শিশুরূপে এই অভাগা পৃথিবীর বুকে আশ্রয় পাবে,
আঁকড়ে ধরবে আমার আঙুল,
বিন্যাশ ঘটাবে আমার ছন্দে,বোধে,চিন্তনে,
আমি জানতাম না,
সেই অপরিসীম ভীতিপ্রবাহ আমাকে কখনো তা জানতে দেয়নি,বুঝতে দেয়নি ।
হ্যাঁ,
আমি ভয় পেয়েছিলাম,
আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেছিলাম।।