মোতিগঞ্জে মোতিবাই যে কোত্থেকে এলো আর
ওর নামই যে মোতিবাই তাই বা কে বললো
মোতির মতো গোল উজ্জ্বল চোখ বলে হয়তো বা কেউ
মূক বধির উস্কখুস্ক এলোমেলো চুল বলে ডেকেছে ,
মাথাটাও গোলমেলে , ডবকা শরীর প্রথম যেদিন
রামলালের পানের দোকানে হাত পাতে রামলাল দুটি টাকা ছুড়ে দেয় ;
মোতিবাইয়ের ভিক্ষার অভাব হয় না। কখনো হাটচালায় , কখনো
কারো খোলা বারান্দায় , কখনো গাছতলায়
বলতেও পারে না কোন্ পশু কোন্ রাতে তার শরীর
ডিঙিয়ে চলে গিয়েছিল ! দিনের পর দিন মাসের পর মাস
মোতিবাইয়ের শরীর ফুলেফেঁপে ওঠে , লোকে মুখ
চাওয়াচাওয়ি করে । মোতিবাইয়ের অঙ্গে ছেঁড়া শাড়ির বদলে
এখন সিল্ক । মোতিগঞ্জে মসজিদ মন্দির গির্জা পাশাপাশি
ছোট্ট একটা নদী পাশ দিয়ে শীর্ণ শরীরে কেঁদে কেঁদে যায়
অদূরে কারখানার চিমনি দিয়ে গলগল কালো ধোঁয়া
রাতে পেচকের চীৎকার , কুকুরের কান্নাধ্বনি
দিনে বসন্তবৌরি , কোকিলের ডাক মোতিগঞ্জে
কয়েক বছর যেতে না যেতে অনাথের ঘোরাফেরা
ছোট গঞ্জে সবাই চেনে সবাইকে , কেউ কিছু বলে না
শুধু মসজিদের মৌলবি বলে , তৌবা ! বড় গুনাহর কাম
গির্জার পাদরি বলে , প্রভু সেভ আস
মন্দিরের পুরোহিত বলে , বড় পাপ হে !