কংক্রিটের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ট্রেনে গ্রামের এক স্টেশনে
নেমে যখন হাঁটছি বৃষ্টি এলো ,  এখানে শহরের দৃষ্টি ঝাপসা
পুকুরের জলে গুটিকয়েক পাতিহাঁস ডুব দিয়ে গুগলি মুখে
দুটি বক ঠায় দাঁড়িয়ে ঝুঁকেপড়া বাঁশের ডগায় ,
তিনটি জলপিপী অল্পজলে ঘুরে বেড়ায় । টোকামাথায় চাষী
সারিসারি ধানের চারা ভাঙে । ঘোমটাপরা বধূ কলসিকাঁখে
পুকুরে জল ভরে । বটের ঝুরি ধরে তিনটি ছেলে দুলেদুলে
জলে ঝাঁপ কাটে । বিকেলে ঘর কেটে মেয়েরা এক্কাদোক্কা লাফদড়ি গোলাখেলে যখন , কিশোরীর বেণী , সরলতার হাসি , ডাকপিওনের সাইকেলে ক্রিং ক্রিং বেলের আওয়াজ ; কারো উঠোনে কোন মা পিঁড়িতে বসে মেয়েটাকে কাছে নিয়ে
চুলবেঁধে দেয় । ফাঁকা মাঠে ছেলেদের ডাকঘুড়ি ওড়ানো
এসব দেখে শহরে ফিরি তখন বুকের মধ্যে এক চিত্রময় কবিতা
আমাকে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে দুদণ্ড শান্তি দেয় ।