আমাকে যখন নিয়ে আসে এখানে
বাকশক্তি ছিল না অথচ শ্রবণশক্তি ছিল
অস্পষ্ট গুঞ্জন , কিছু ক্রন্দনধ্বনি শুনেছি
সবাই চলে গেলে ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি
আলো-আঁধারের সন্ধিক্ষণে আমি ;
পরিচিত কেউ নেই আশেপাশে
স্ত্রী পুত্র কন্যা পরিজন কেউ না
এখানে হুকুম শোনার কেউ নেই
অনুরোধরক্ষার কেউ নেই
বড় অসহায়বোধ , বড় অস্বস্তিকর ;
পানির খোঁজ করতেই দেখি
দুজন অচেনা সামনে প্রশ্ন করার
ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ক্রূরতা বা সদয়তা
কোন লক্ষণ বোঝা যায় না
সহজ সরল প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে
ভুলভাল কিছু বলেছিলাম বোধ হয়
আর তারপরেই কবরের দুপাশের
মাটি আমাকে চেপে পিষে
পাঁজরার দুদিকের হাড় এ-ফোঁড় ও-ফোঁড়
অথচ মরছি না ; আমার উৎকট চীৎকার
কবর ফুঁড়ে বাইরে যায় না , বড় অসহায়
কেয়ামত অবধি এ-যন্ত্রণা
আমাকে পোহাতে হবে ।