সুচরিতাসু , কপাল যখন একপেশে হয়
তখন কিছুই করার থাকে না আর । যেডাল
ধরতে গেছি সেটাই গেছে ভেঙে । তোমার
মনে আছে বোধ হয় -- ছেলেটা চোখের সামনে
কীভাবে বিগড়ে গেল , কোন শাসন মানেনি ,
শেষে একদিন নায়ক ( না খলনায়ক ) হওয়ার
নেশায় মুম্বাইয়ে জমায় পাড়ি । যেবারে
মেয়েটার বিয়ে ঠিক করেছিলাম এক কলম-
জীবীর সাথে , সেবারেই , তুমি তো জান ,
একদিন দুপুরে তুমি বাড়িতে ছিলেন না তাই ,
মানদাকে বলেছিলাম ছুটতে ছুটতে এসে
মান্দা তোমার বৌদি এখানে নেই , তুমি
শীঘঘির তোর শাড়ি -- মানদা চীৎকারে
বাড়ি করেছিল মাত , আমি লজ্জায় গিয়েছিলাম
মরে , সেবারেই বিয়েটা গেল ভেঙে । শেষে
এক আধবুড়োর সাথে মেয়েটা গেল পালিয়ে ।
এখন মনে হয় আমি বাবা হতে পারিনি
এখন মনে হয় আমি স্বামী হতে পারিনি
কোনদিনই পারিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে । আজ
জীবনসায়াহ্নে তুমি পাশে নেই , বড় একা
লাগে তাই , তোমাকে পাঠিয়ে দিই চিঠিটা বাঁকে ।