আমাদের দেশে আছে কত শত লতা গাছ
আর আছে ছোটবড় নানা জাতের কত মাছ ।
বাংলার খাল বিল নদী নালা পুকরে বা বাওড়ে
সারা বছর লোকে সেথা জাল দিয়ে মাছ ধরে ।
কোন মাছ আঁশছাড়া , কোন মাছে আঁশজোড়া
কোন মাছ কাঁটাছাড়া , কোন মাছে কাঁটাভরা ।
কেউ বলে নোনামাছ স্বাদু বেশি , কেউ বলে নয়
মিঠাপানির মাছ নাকি খুব বেশি স্বাদু হয় ।
কোন মাছে কাঁটা থাকে মাঝখানে একটা
বাঁশপাতা মাছ থাকে বাঁশপাতা সাপটা ।
কৈমাছ কানে হাঁটে , কাঠকৈ পারে না
ট্যাংরায় ফোটালে কাঁটা জ্বালা দেখি সারে না ।
ডোবা খানায় হয় জানি চ্যাং শোল উল্কো
খেতে ভালো লোকে বলে বড়মাছের ফুলকো ।
দক্ষিণ বঙ্গে মেলে পুঁটি মৌরলা , উত্তরে বৈরালি
ঝাল ঝাল হয় যদি খেয়ে দ্যাখো গুরজালি ।
বোয়ালের পেটি ভালো ভেটকির পাতুড়ি
যাই বলো তাই বলো ইলিশের নেই জুড়ি ।
রুই কাতলার মাথা দিয়ে মুগডালের ঘণ্ট
সবারই ভরে ওঠে খুশিতে মন তো !
রোগবালাই হলে পরে খেতে দেয় মাগুর সিঙ্গি
মোটাতাজা হয়ে যায় যত হোক রোগা ধিঙ্গি ।
বোগো মাছের ঠোঁট দেখি বকের মতো লম্বা
পায়রাতেলির স্বাদ কিসে যায় কম বা !
ছোট নয় বড় যদি বাছাবাছা  হয়  মাছ গুলে
শীতকালে খেলে তুমি যাবে দেখি সব মাছ ভুলে ।
চিতলের মাছে নাকি খুব বেশি তেল হয়
রূপচাঁদার মাছেও লোকে বেশি বেশি তেল কয় ।
সাপের মতো দেখায় কিছু বাণমাছ নয় সাপ
পাঁকে থাকে পাঁকালটি , ধরে রোজ রবির বাপ ।
তেলোটাকি , বাটা , চাঁদা  আছে , আছে পাবদা
গলদা চামানে বেলে চাপড়া চিংড়ি এবং বাগদা ।
পাথরচাটা মাছ খায় নাকি অনেকেই তপসে
কেউ খায় ফ্যাঁসা মাছ , কেউ খায় খলশে ।
গঙ্গায় পাওয়া যায় কাজুলি ও কাচকি
এত মাছ আছে তাই আর কিছু চান কি !
ডাহুক কেবল পাখি নয় ঐ নামে মাছ আছে
তেলাপিয়ার নাম শুনে অনেকের জিভ নাচে ।
তবু দেখি অনেকেই তেলাপিয়া খোঁজে গিয়া
নাইলন টিকা কিনে আনে ভুল করে মনোপিয়া ।
কুচেটাও মাছ বলে অনেকেই খেয়ে থাকে
এরা নাকি পুকুরের ধারে থাকে বিবরের পাঁকে ।
ভাঙ্গনের নাম বেশি , বালিচাটা কম মেলে
জিভে জল এসে যাবে এত কিছু মাছ পেলে ।