মাথার ভিতর কিছুই নেই
মাথাটা কেমন ভোঁ ভোঁ করছে
চৈত্রের দুপুরে যেমন মাথা ঝিমঝিম করে তেমনই
রোদদুরের বাচ্চাগুলো চারিদিকে দাপিয়ে বেড়ায়
আকাশের দিকে তাকাতেও পারছি নে
ফলে আকাশের রঙ কেমন বুঝতে পারছি নে
বিকট শব্দ করে একটার পর একটা প্লেন উড়ছে
প্লেনগুলো যাত্রীবাহী না বোমারু বিমান বোঝা যায় না
বড় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি
মনে হয় আমি এক নির্জন পরিত্যক্ত দ্বীপে আছি
এই দ্বীপে কোন গাছপালা নেই
কেবল বালি আর বালি
এখানে ওখানে কিছু কাঁটাগাছ
ইঁদুরের মতো বড় বড় প্রাণী খাদ্যের সন্ধানে
এদিকে ওদিকে ছুটে বেড়ায়
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে চাঁদের ভাঙা জোছনা
মরুভূমির বালিতে ডুবে যায়
একটা তক্ষক না অন্য কিছুর ডাক শুনে উঠি চমকে
কেমন যেন এক সম্মোহিত হয়ে পড়ি
এই জায়গা থেকে বেরোতেই পারছিনে
বিপজ্জনকভাবে কাটে কাঁটাময় জীবন
গাছ নেই ফুল নেই ফল নেই
মনের মাঝে নামে ধস
এক নদী তৃষ্ণা বুকে
অথচ জল নেই এক ফোটা
চারিদিকে কদর্য হাহাকার
এইরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পচন অনিবার্য
আজ কত তারিখ জানিনে
ক্যালেণ্ডারের পাতা ছিঁড়েখুড়ে একাকার
যাবতীয় প্রত্যাশা ধুয়েমুছে সাফ
আবছা আঁধারে মুখ দেখতে পেলাম না
কানের কাছে মুখ এনে কে ফিসফিসিয়ে বলে গেল :
আরে আপনি তো কোন দ্বীপে নেই
আপনি আছেন আপনার নিজের দেশে
যে-দেশ এখনো মৃত নয় , মৃতপ্রায়
ঈষৎ সজীব , ঈষৎ নির্জীব
ভয় পাবেন না কোন বিশল্যকরণীর ছোঁয়া
পেলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।