বৈদ্যবাটির বৈদ্যনাথের পিসীর ছেলে ভূতনাথ
ভূতের সঙ্গে ঘোরে সে যে দুপুর থেকে রাত
আসলে তার মনে ছিল বেজায় ভারি ফন্দি
সুযোগ পেলেই করতো সে যে ভূতকে বস্তাবন্দি ।
অন্য ভূতে টের পেত না এমন ছিল চতুর
ভূতের রাজ্য দিনে দিনে হচ্ছে ক্রমে ফতুর ।
বস্তা হতে সরিয়ে তাদের বোতলবন্দি করে
চালান দিত বিদেশে সব ক্যুরিয়ারের জোরে ।
বিদেশ থেকে ডলার আসে জমছে টাকা তার
ফুলেফেঁপে উঠছে ভুতোর ভূতের কারবার ।
কমছে কেন ভূতের সংখ্যা বসলো তাদের মিটিং
নেতা-ভূতের সেই মিটিংয়ে সঙ্গোপনে সিটিং ।
নওলা ভূতে দাঁড়িয়ে উঠে করে নিবেদন ,
"হচ্ছে চুরি আমাদেরই বলছে আমার মন
রাখতে হবে পাহারা ও থাকবো সাবধানে
মিশবে না কেউ ভুতোর সাথে কভু কোনখানে "।
তারপরেতে ভুতোর ব্যবসায় নেমে এলো ভাঁটা
বন্ধু সেজে ভূত ঠকিয়ে জব্দ ভুতো ব্যাটা ।
ভূতনাথকে বাগিয়ে ধরে সেদিন পাঁচটা ভূতে
শেষরাত্রে যাচ্ছিল সে আরাম করে শুতে
পাঁজাকোলা করে তাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল
তারপরেতে তার টিকিটি কেউ যে খুঁজে না পেল ।