ভূতের লড়াই দেখে এলাম ভুবনডাঙার মাঠে
নৌকা বেঁধে সেদিন রাতে কাছের নদীর ঘাটে
ভুবনডাঙার মাঠের উপর দিয়ে বাড়ির পথ
থমকে গেলাম হঠাৎ শুনে লাঠির খটাখট ;
ঘাপটি মেরে শুয়ে পড়ি মোটা আলের ধারে
দেখবো বলে কার লাঠিটা পড়ছে কাদের ঘাড়ে
আঁধার রাতে ভালো করে ঠাহর করে দেখি !
পেত্নী বলে , মরেও ব্যাটা স্বভাবখানা একই
থাকতে আমি কেনই বা তুই পাঁচির কাছে গেলি
কালনাগিনী পাঁচির মাঝে এমন কী তুই পেলি !
স্বামী স্ত্রীর এই কলহ জমছে দেখি ভালো
ভূত বেচারা ধরা পড়ে মুখটা বেজায় কালো
তবুও মুখে হম্বিতম্বি বেজায়  তড়পায়
সেই সময়েই পেত্নী এসে মারলো বাড়ি পায় ।
বাপরে বলে লাফিয়ে উঠে বৌয়ের মাথায় গাট্টা
গাট্টা খেয়ে পেত্নী-মাথা টুকরো হলো চারটা
চারটি মাথা দিয়ে তখন পেত্নী দিল কামড়ে
ছুটছে ভূতে পালিয়ে বাঁচে বলছে মুখে বাপ রে !
পেত্নী হাসে অট্টহাসি বলছে ব্যাটা জব্দ
তারপরেতে আর শুনিনি মারামারির শব্দ ।