ভাঙা চেয়ারটা বছরের পর বছর ঘরের কোণে
অল্প একটু জায়গা দখল করে বসে আছে ।
কাপড়ে ঢাকা থাকলেও চেয়ারটায় ধুলো জমে
মাঝে মাঝে উৎসব অনুষ্ঠানের আগে
ঘরের অন্য সবকিছু যখন পরিষ্কার হয়
চেয়ারটাও ঝাড়পোচ হয়ে চকচকে হয়ে ওঠে ।
একটা পা ভাঙা চেয়ারটার
তবু সাবধানে বসা যায়, পড়ে যায় না ।
কিন্তু বড়ো ছোটো কারুর
সেই চেয়ারে বসার অনুমতি নেই ।


সেই কোন্ যুগে বাবার দাদু বসতেন ।
তাঁর আমলেই এই বাড়ি, জমি, জায়গা, প্রতিষ্ঠা ।
স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন
দেশ স্বাধীন হবার পর সম্মান পুরস্কার পেয়েছেন ।
তাঁর তৈরি চেয়ার । তিনি বসেছেন ।
বাড়ির সংগ্রহশালায় জমা আছে ।
বিশেষ বিশেষ দিনে চেয়ার সিংহাসন হয়ে ওঠে ।
কিন্তু অন্য কারুর বসার অনুমতি নেই ।
ছেলেপুলে কেউ চড়ে বসলেই
বড়োরা হৈ হৈ করে ওঠেন ।


কিন্তু ইংরেজদের ছেড়ে দেয়া চেয়ারে
বসার জন্য
প্রতি পাঁচ বছর পর দেখি
স্তরে স্তরে
বড়ো বুড়োদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ।
এ চেয়ার ভাঙেও না, ধুলোও জমে না ।