এই বিশ্বভুবনে যা কিছু দৃশ্যমান তার পেছনে এক অনন্ত অদৃশ্য শক্তি বিরাজমান । সেই পরম ঈশ্বরকে আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু প্রতিটি সৃষ্টিতে তাঁকে আমরা অনুভব করি । নিজ নিজ জ্ঞান ও বিশ্বাসমতো তাঁকে আমরা বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে অভিহিত করি, কিন্তু তিনি এক এবং অদ্বিতীয় ।


মানুষ, জীবন অতিবাহিত করার জন্য অনুকূল প্রকৃতি ও পরিবেশ, কতো বিচিত্র রকমের জীব ও প্রানী সব তাঁর সৃষ্টি । কবি মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস "কে দিয়েছে?" রচনায় সেই পরম স্রষ্টা আল্লা ভগবান ঈশ্বরের বন্দনা করেছেন ।


এই পৃথিবীতে প্রাণের উৎস যে সূর্য তা সেই বিধাতার সৃষ্টি । সূর্য্যের তাপে তাপমান চন্দ্র ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই বিরাজমান । আকাশভরা আরো যতো তারারাজি, পৃথিবীর যতো দৃষ্টিকাড়া রঙ, বৈচিত্র্যময় যতো পাখি - সবই তাঁর ভাবনা, তাঁর সৃজন ।


এত যে সব বাহারি ফুল, নানা স্বাদের ফল, প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্য - পাহাড়, সাগর, খাবার মিষ্টি জল, আবাদ ও বাসযোগ্য সমতল ভূমি, মাথার ওপর আকাশরুপী ছাদ, আলো ঝলমল দিন, ক্লান্তি বিদূরিত রাত - সব সেই পরম ঈশ্বরের মহিমা ।


জীবনকে সুন্দর ও পূর্ন করে তোলার জন্য প্রয়োজন নানা সম্পর্কের । প্রেম প্রীতি শ্রদ্ধা ও স্নেহের এই বাঁধন এই ধরাধামে মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে স্বর্গীয় সুখ । বাবা, মা, অন্য আত্মীয় পরিজন, স্বামী, স্ত্রী - এমন নানান সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে মানবজাতি আনন্দের সব ক্ষণ উপলব্ধি করে চলেছে ।


জাগতিক ও মহাজাগতিক সম্পদে পূর্ন এই জগত, এই মানবজীবন । এই সবই সেই ঈশ্বরের দান । অথৈ সম্পদ, প্রাণপ্রিয় সন্তানের মুখদর্শনের অফুরন্ত সুখ - সব তাঁর অবদান ।


মানুষের যাবতীয় ক্ষমতা, শক্তি তাঁর দান । যা কিছু প্রয়োজন সব তিনি পূরণ করেন ।  আমাদের সকল নিবেদন, সকল ভক্তি সেই জগত স্রষ্টার প্রতি নিবেদিত । তিনি আমাদের আরাধ্য ।


কবিকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা ! !