"মহান ২৬শে জানুয়ারী" রচনাটির জন্য কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী মহাশয়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই l ভারতবর্ষের ইতিহাসে দিনটি সত্যিই মহান l ইংরেজদের হাতে ১৯০ বছর পরাধীন থাকার পর ১৯৪৭ সালের ১৫ - ই আগস্ট ভারত স্বাধীন হয় l কিন্তু তার নিজস্ব সংবিধান ছিল না l ইংরেজ কর্তৃক ১৯৩৫ সালে প্রণীত ভারত শাসন আইনকে কিছুটা রদবদল করে কোনোরকমে শাসনকার্য পরিচালিত হচ্ছিল l প্রয়োজন ছিল স্বাধীন দেশের নিজস্ব সংবিধান l বি. আর. আম্বেদকারের নেতৃত্বে গণপরিষদ গঠিত হলো l এই গণপরিষদ সংবিধান তৈরির দায়িত্ব পেল l প্রায় দু বছরের পরিশ্রমে ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান তৈরির কাজ শেষ হয় l কিন্তু নতুন সংবিধান চালু হলো পরের বছর l ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি থেকে l এটা করা হলো ২৬ শে জানুয়ারি দিনটিকে সম্মান জানানোর জন্য l পরাধীন ভারতবর্ষে ১৯৩০ সাল থেকে আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে ২৬ শে জানুয়ারি দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করা হতো l পরাধীন জাতির মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্খা তীব্রতর করার জন্য এই কর্মসূচী নেয়া হয়েছিল l ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা এসে গেল l এখন ২৬ শে জানুয়ারি সংবিধান প্রণয়ন করে দিনটিকে মর্যাদা দেয়া হলো l সংবিধানে যেহেতু ভারতকে একটি প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র বলা হলো, তাই ২৬ শে জানুয়ারি দিনটি প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসাবে পরিচিতি পেল l
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী যথার্থভাবেই তাঁর রচনায় ভারতের বীর শহীদ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করেছেন, যাঁদের ত্যাগ ও বলিদানে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে এবং যার পরিণতিতে আমরা পেয়েছি নিজেদের সংবিধান l
আজ এই শুভ মুহূর্তে কবির সঙ্গে তাঁদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই l
পরিশেষে, এটি ৭৯তম নয়, ৬৯ তম প্রজাতন্ত্র দিবস হবে l
শুভেচ্ছা সহ .......