শুভ জন্মদিন কবি !


১) পণটা যদি নিতো :
http://www.bangla-kobita.com/rukun1212/ponta-jodi-nito/


আসরে ২৭-১১-২০১৭ তারিখ প্রকাশিত "পণটা যদি নিতো" কবিতায় কবি রুকুন-উদ-দৌলা সোহেল দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ যে যুবসমাজের কাজের চরিত্রের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে এটা বলেছেন l যদি তারা বিপথগামী হয় তাহলে দেশ রসাতলে যায় l দেশের উন্নতি প্রগতির জন্য যুবসমাজকে দৃঢ় পণ নিতে হয় l
দেশমাতৃকা নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুসজ্জিত l আকাশ, বাতাস, জল, মাটি জুড়ে সেই সৌন্দর্যের বাহার l পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদের আলো গোটা বিশ্বভুবনকে আলোকিত করে রাখে l আকাশ জুড়ে বসে তারাদের মেলা l চাঁদ এবং তারাদের মধ্যে আনন্দবিধুর লুকোচুরি খেলা চলে l
কিন্তু একটি দেশের প্রকৃত সম্পদ হলো তার কিশোর ও যুবসমাজ l এরা জোনাক পোকার মতো নিজ নিজ আলো দিয়ে দেশকে আলোকিত করে রাখে l
কিন্তু তার জন্য যুবসমাজকে গঠনমূলক পথে চলতে হয় l বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ, যেখানে প্রকৃতি মা উদারভাবে তার সম্পদ উজাড় করে দিয়েছেন দেশের শ্রী গঠনে, দেশপিতা তাঁর উজ্জ্বল মহান আদর্শ দিয়ে পূর্ণিমার চাঁদের মতো আলো বিতরণ করেছেন জাতির জীবনে, শত শত বীর শহীদ, মহান পূর্বপুরুষেরা আকাশের শত শত তারার মতো তাদের আদর্শ প্রজ্জ্বলনে দেশ ও জাতির কল্যাণের পথের দিশা দেখিয়ে চলেছেন, এমন সময় দেশের কিছু যুবসমাজ ভ্রান্ত আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্ধকারের পথে, ধ্বংসের পথে চলেছে l তাদের এই উল্টোপথে চলা তাদের নিজেদের জন্য, দেশের জন্য অহিতকারী l নিজেদের ভবিষ্যতের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎকেও তারা রসাতলে পাঠানোর আয়োজন করছে l দেশকে সুরক্ষিত করতে হলে, সোনার বাংলার ভবিষ্যতকে আলোকোজ্জ্বল করতে হলে জোনাকরুপী শত শত, হাজার হাজার যুবসমাজকে সঠিক পথে, গঠনমূলক পথে নিয়ে আসাটা তাই খুব জরুরী l তারা যদি পণ নেয় যে দেশমাতৃকার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তবেই দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে l


২) রক্ত কেনো ঝরে :


"রক্ত কেনো ঝরে" কবিতায় বিপরীত সুর পাই  কবির লেখনীতে l এখানে কিশোর-যুবসমাজ দেশের জন্য বলিপ্রদত্ত l পূর্বের কবিতায় যুবসমাজকে যে পণ নেবার কথা বলা হয়েছিল, এই কবিতায় পাই একদল কিশোর সেই পণ গ্রহণ করেছে l
একবার স্বাধীনতা অর্জিত হলেই চিরকাল সেটা সুরক্ষিত থাকে না l অশুভ শক্তি নানা ছলে এই স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য সক্রিয় থাকে l তাদের দ্বারা নিয়োজিত, তাদের দ্বারা প্রেরিত, তাদের দ্বারা বিপথে চালিত কিছু শক্তি শকুনের মতো দেশের আকাশে উড়ে বেড়ায় l তাদের অতর্কিত নানা আক্রমণে দেশমাতার রক্ত ঝরে, অশ্রু ঝরে l
দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন মনে হয় l অন্ধকার ঘিরে ধরে দেশমাতাকে l লুণ্ঠিত হয় দেশের সম্মান, মর্যাদা l যেন পুনরায় পাক সেনাদের আক্রমণ হয়েছে l ত্রাস ছড়িয়ে বাংলা মায়ের অর্জিত স্বাধীনতাকে গ্রাস করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলে l
দেশপ্রেমী একদল কিশোর যুবক দেশের এই বিপদ আঁচ করে তা রুখে দেবার সংকল্প নিয়েছে l দেশের যারা ক্ষতি করছে, তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা নয় l তাদের পরাজিত করে, তাদের যথাযথ শাস্তিবিধান করে দেশমাতাকে সুরক্ষিত করতেই হবে - এটাই তাদের শপথ l বীর সেনানীর মতো, দেশের যারা শত্রু তাদের ওপর এই দেশপ্রেমী যুবসমাজ ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় l মায়ের কষ্ট তারা সইতে পারে না l দেশমাতৃকার অঙ্গহানি হয়, শরীর থেকে রক্তপাত হয়, এমন কিছু তারা অনুমোদন করে না l সোনার বাংলা থেকে এই শকুনিদের তারা বিতাড়িত করবে l দেশমাতৃকার কাছে এই সংগ্রামে যাবার জন্য তারা অনুমতি চায় l তারা বীরের জাতি l তাই বিদায়বেলায় মায়ের মুখে আশঙ্কার আঁধার তারা দেখতে চায় না l তারা চায় মা বীরের মতোই তাদের বিদায় দিন l স্বাধীনতা রক্ষার এই যুদ্ধযাত্রায় বীরের মালা গলায় তারা বেরিয়ে পড়তে চায় l মায়ের চোখের জল মুছে দিয়ে মাকে তারা আশ্বস্ত করে যুদ্ধশেষে জয়ের মালা পড়েই তারা ফিরে আসবে l
শত্রুশ্রেণীকে তারা তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে যেতে বাধ্য করবে এবং দেশের উজ্বল সকালকে সুনিশ্চিত করবে l কিছু অসীমসাহসী কিশোর ছেলে এর জন্য সংকল্প গ্রহণ করেছে l দেশকে সুরক্ষার আলো দিতে তারা বদ্ধপরিকর l


কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা !!