অর্থগত সম্পদে, বৈভবে সকলেই সম্রাট শাজাহান হতে পারেন না l শাজাহানের মতো সকলেই তাঁর প্রিয়তমার জন্য শ্বেতপাথরের তাজমহল নির্মাণ করে প্রেমকে অমর করে যাবার ক্ষমতা রাখেন না l কিন্তু প্রেমের জন্ম সব প্রেমিক হৃদয়েই হয় এবং সত্যিকারের প্রেমের গভীরতা অন্য নানা মাত্রায় অমরত্ব পেয়ে যায়, প্রতিটি রক্তফোঁটায়, হৃদয়ের প্রতিটি অনুভবে জীবনের শ্রেষ্ঠ তাজমহল গড়ে ওঠে l 'তাজমহল' রচনায় নীলকণ্ঠ কবি তাঁর প্রিয়তমার প্রতি তাঁর প্রেমের অনুভবের গভীরতা প্রকাশ করেছেন সুনিপুণ অন্তরঙ্গ বর্ণনায় l প্রথম দর্শনেই এই প্রেমবোধের জন্ম হয়েছে l সেদিন থেকেই জীবনের সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছে তার l এতো দিনের অন্য সকল বাঁধন যেন একনিমেষে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে l প্রেমিক আশ্রয় খুঁজেছে তার প্রিয়তমার স্বপ্নালু চোখের গভীরে l এই ভালবাসা প্রিয়তমার অনুমোদন পেয়েছে কি না এবিষয়ে প্রেমিক কবি নিশ্চিত নয় l হয়তো স্বীকৃতি মিলবেও না l কিন্তু তাতেও কোনো দুঃখ নেই অবুঝ প্রেমিকের l কারণ এই অস্বীকৃতিকেও সে প্রিয়তমার থেকে পাওয়া উপহার হিসাবে দেখছে l
অনেক দূর থেকে সে এসেছে l হয়তো অনেকদূরে চলেও যাবে সে l কিন্তু এই প্রেমের অনুভবকে সে সঙ্গে করেই নিয়ে যাবে l ভবিষ্যতের কোনো এক শ্রাবন সন্ধ্যায় যখন গাছের পাতায় বৃষ্টি ঝরে পড়বে আর সোঁদা মাটির গন্ধ ভেসে বেড়াবে চতুর্দিকে, তখন প্রিয়তমার স্মৃতি তার মুখে এক ঔজ্জ্বল্যভাব নিয়ে আসবে এবং নিজের জীবনকে ধন্য মনে করবে সে l কল্পনায় ভর করে এক গুচ্ছ রক্ত গোলাপ হয়ে মমতাজসম প্রিয়তমার পাশে পৌঁছে যাবে সে l হয়তো তার প্রিয়া সেটা বুঝেও উঠতে পারবে না l  
তার প্রেমের প্রতিটি অনুভবে, প্রতিটি রক্তফোঁটায় গড়ে উঠবে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ তাজমহল l


সুন্দর প্রেমের কবিতার জন্য কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা l