করোনার এই বিষম দিনে
বন্ধুকে নেই আবার চিনে l
শুন্য মাঠে সবুজ বেশে
মন কেড়ে নেয় এক নিমেষে l
ঘরের কোণে হাস্য মুখে
কালো পোশাক পরম সুখে l
ভাঙা বাড়ি দর্শনীয়
লাল টুকটুক কমনীয় l
হাল্কা হাসি সবুজ সাদা
সেল্ফি মুডে প্রিয়ংবদা l
বাদাম লালে চশমা চোখে
দিদিমণি বলেন লোকে l
আবছা আলোয় কালো সাদায়
পা ফেলে যায় জলে কাদায় l
নক্সা করা দালান বাড়ি
হাত ছুঁয়ে নেয় নীল সে নারী l
ফের কখনো চেয়ার আসন
ঘরের ভেতর উপবেশন l
পাহাড় শহর ঘুরতে গিয়ে
ছবি তোলে একলা মেয়ে l
কুয়াশাময় ভোরের বেলায়
রেললাইনে ছবি তোলায় l
হলুদ সবুজ সর্ষে মাঠে
লাল পোশাকে দিন যে কাটে l
ফের কখনো নদীর ধারে
গাছের পাশে পাই যে তারে l
পুজোর ঘরে ভক্তিমনা
এই আমাদের লক্ষ্মী সোনা l
ঐতিহাসিক প্রাসাদ মাঝে
শিক্ষাভ্রমণ স্কুলের কাজে l
ঘরোয়া সাজে ঘরের মেয়ে
একলা বসে আছে চেয়ে l
ঘন কালো দীঘির পাড়ে
অপরাহ্ন ভ্রমণ সারে l
শুন্য খাঁ খাঁ রাস্তা দেখি
একলা তিনি এলেন এ কি l
হাল্কা শীতে ঘরের কোণে
ভাবেন কিছু একলা মনে l
সেই ভাবনা চলতে থাকে
নানা সময় নানান ফাঁকে l
হাতটি ধরে গালের নীচে
চিন্তা করেন সত্যি মিছে l
গেরুয়া পোশাক সাধ্বী যেন
লাল তিলকে অনুপম l
সবুজ গাছের মধ্যে মিশে
খুঁজে ফেরেন আপন দিশে l
শস্য ক্ষেতে বিকেলবেলায়
আলতো সাজে মেয়েবেলায় l
বাঁধের ধারে প্রাচীর ঘেরা
জলা জমি বাঁধেন ডেরা l
গাড়ির ভেতর কাজের টানে
বসেন তিনি উতল প্রাণে l
ঘর প্রাচীরে হেলান দিয়ে
উস্কোখুস্কো ব্যস্ত মেয়ে l
একলা বসে দেবালয়ে
কতো সময় যায় যে বয়ে l
ফসল জমি নদীর উঁকি
বাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে খুকি l
আবার দেখি ভুট্টা ক্ষেতে
কাঁধে ঝোলা অফিস যেতে l
লাল ওড়না গলায় ঝোলে
ছবির নেশায় হৃদয় দোলে l
ব্যস্ত আবার ঘরের কাজে
কতো যে কাজ সকাল সাঁঝে l
মাটির পথে মেটে শাড়ি
হৃদয় হরণ করে নারী l
সর্ষে ক্ষেতে দাঁড়িয়ে তিনি
এই এনাকে ভীষণ চিনি l
দিদিমণি স্কুলের কাজে
পরম প্রিয় শাড়ির সাজে l
শমী বৃক্ষ তলে এসে
মহাভারত ভালোবেসে l
নিজের ছবি বুকে ধরে
ভালোবাসে আপন করে l
শান্ত মনে স্নিগ্ধ বেলায়
ব্যস্ত তিনি ছবি তোলায় l
গাড়ির ভেতর একলা বসে
ভাব ভাবনার চারণ রসে l
দুষ্টু হাসি অলস দিনে
মিষ্টি মুখে নেয় সে কিনে l
আবার পুরো কোমর বেঁধে
জীবন যুদ্ধে যায় সে বিঁধে l
পথের ধারে গাছের গোলক
ধরা থাকুক স্মৃতিফলক l
হাসছে কেন জানে না তো
হেসে ফেলে পেলে ছুতো l
ফের কখনো রিজার্ভ তিনি
গোমড়া মুখের দিদিমণি l
ফের কখনো দোলের দিনে
মালায় রঙে লাজুক কনে l
আসা যাওয়ার পথের ফাঁকে
গাড়ি থামিয়ে সময় মাপে l
ট্রেনে চড়ে কলকাতাতে
আসা যাওয়া দুটোই রাতে l
একলা পথে দিন দুপুরে
ছবি তোলে জলের ধারে l
চল চপলার চকিত হাসি
স্বপ্নরাজের অধিবাসী l
রংবেরং এর দারুণ সাজে
চলেন তিনি আপন কাজে l
দুয়ার খুলে হেলান দিয়ে
খুশির জানান দেয় মেয়ে l
একলা ঘরের কোণে যখন
মনের ভেতর এখন তখন l
ঘর ছেড়ে সে বাইরে পথে
একলা নিজের পদরথে l
ছোট্ট খুকি ছোট্ট সোনা
তাকে নিয়ে পদ্য বোনা l