অলস দিনে সময় মেলে পেছনে তাকাই
কাজের বয়ান প্রাপ্তিযোগের হিসাব মেলাই l
বন্ধুরা সব ছড়িয়ে গেলো দেশ বিদেশে
চাকরি পেয়ে ব্যবসাকর্মে সুখ আয়েশে l
শৈশবের সেই হাঁদা ভোঁদা সুখের স্মৃতি
মনের কোণে ভীড় করে যায় নিতি নিতি l


পরোটা খেলায় প্রান্ত মাঠের তিন কোণে
প্রান্ত বদল করেই চলি শব্দটানে l
মাঝখানে যে চোর সাজে চেষ্টা চালায়
প্রান্ত দখল করে যে সে নিজ চেষ্টায় l


আর একটা সে খেলা ছিল বুড়ি ছোঁয়া
চৌকো কেটে তার মাঝেতে এক হওয়া
একটু দূরে বৃত্ত কেটে রইলো বুড়ি এক পানে
গানে গানে দম নিয়ে যায় সঙ্গীটাকে ঘরে আনে l
দম ছুটলে বিরোধীরা দেয় যে ছুঁয়ে
সেই ছোঁয়াতে প্লেয়ার কমে অক্কা গিয়ে l
এমনি করে যোগ বিয়োগে ফলটা আসে
খেলার শেষে কেউ কাঁদে কেউ বা হাসে l


শনিবারে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি বাড়ি হরির লুট
রাতের বেলায় চড়ুইভাতি বাড়ি থেকে পাই ছুট l  
মেলা দেখার কড়ি পেতাম দশ পয়সা গুরুজনের
জিলাপি আর মাটির ভাঁড়-এ আশ মিটত সব মনের l
ঢোলা প্যান্টে ছুটে যেতাম বন থেকে সেই দূরের বাদার
কালীপুজোয় মালাই-কাঠি টর্চ বানিয়ে দূর আঁধার l


সব মাঝেতে শান্তি মেলে একটা কথা মনে এলে
সংস্কৃতের ক্লাশে পেতাম গাঁট-টা জবর পড়া ভুলে
চাঁদিটা কেমন টনটনিয়ে স্মরণটা দেয় বারংবার
তাই বর্তমানেই খুশি থাকি সেই দিনকে নমস্কার l