সমাজে দুরকম দেখি আমরা
পরম সম্মানীয় l


একজন মস্ত পুঁথি পড়ে
অনেক ডিগ্রি সার্টিফিকেট নিয়ে
প্রকৃতির নিয়মকে করেছেন অধিগত l
অনর্গল জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দেয়া
কোনো সমস্যা, তার আশু সমাধান
তার আঙ্গুলের ডগায় l


আর একজন
প্রথাগত পাঠ নেন না
বা পান না l
ভেতর থেকে উদগত হয় জ্ঞানস্রোত l
তা দিয়ে তত্ত্ব হয়, মস্ত পুঁথি হয় l
এই পথেই খ্যাতি পান তিনি l


পাণ্ডিত্য অর্জিত, জ্ঞান সহজাত l
জ্ঞান তার ভক্ত খুঁজে নেয় l
এর অভিব্যক্তি সবার হয় না l
তার জন্য ঘাত প্রতিঘাত প্রয়োজন l
প্রয়োজন সংবেদনশীল, ভাবুক অন্তর l
ঘাত প্রতিঘাত অর্থ শুধু লড়াই সংগ্রাম নয়,
অনুভব যাপনের, সন্ধান অসম্ভবের l
কোনো ঘটনার সক্রিয় সৃজনশীল প্রতিক্রিয়া,
জ্ঞানের বিকাশ সক্রিয়তাভিত্তিক l
জীবনের ঘটনা যাদের করেছে বিচলিত
তারা উত্তর খোঁজেন প্রকৃতির মধ্যে l


স্রষ্টা পরমেশ্বর জন্ম মুহূর্তে মননে দিয়েছেন
সৃষ্টির সব জ্ঞান l সেই জ্ঞান নানা উপলক্ষ্যে
বিকাশের জ্বালামুখ খোঁজে l
মনের গভীর গহন দেশ থেকে ভাবনা আসে
প্রতিভাধরের কাছে l
এরা জ্ঞানী, পণ্ডিতদের থেকে স্বতন্ত্র l
জ্ঞানীদের আবিষ্কার, তত্ত্ব, পুঁথি -
পণ্ডিত তৈরির উপাদান l


পণ্ডিত করেন পাঠ, অনুশীলন -
সেই সব পুঁথি ও তত্ত্বের  
এবং দেশ চালান
জ্ঞানের প্রয়োগ করেন সর্বক্ষেত্রে
সবার সব প্রয়োজন মেটাতে l
যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি -
প্রথমটি জ্ঞান, প্রযুক্তি তার প্রয়োগ
মানবকল্যাণে l


সুতরাং, উভয়েই সম্মানীয় l