প্রতি বছর শিবরাত্রিতে গরম আসে নেমে
ভালোই ঠান্ডা দুধ-জলে স্নান শরীর যখন ঘেমে ।
এবার কিন্তু শিবরাত্রিতে ছিলো শীতের এলেম
দুধ ও জলে অল্প গরম তাই তো চেয়েছিলেন ।
কিন্তু সেটা করেননি তো অনেক মেয়েছেলে
ঠান্ডা জলে ঠান্ডা দুধে দিয়েছেন সব ঢেলে ।
ভীষণ ঠান্ডা দুধ ও জলে ভিজেছেন শিবঠাকুর  
সর্দিতে আর হাঁচিতে তাঁর প্রাণটা আঁকুপাঁকু ।
ওষুধ সিরাপ খেলেন অনেক জ্বরটা গেলো বেড়ে
চটজলদি হাসপাতালে শরীর দিলো ছেড়ে ।
নার্স ও ডাক্তার সবাই মিলে সারাটা দিন ধরে
করেন কতো শুশ্রুষা তাঁর অনেক যতন করে ।
দুর্গা মায়ের দুঃখী মুখে রাগের প্রতিফলন
পছন্দ নয় মোটেই তো তাঁর পৃথিবীর এই চলন ।
সংসারে তাঁর নিত্য অভাব স্বামী শ্মশানবাসী
নন্দী ভৃঙ্গী গঞ্জিকা দেয় সেটাই সর্বনাশী ।
হাঁড়িতে তাঁর চাল চড়ে না কতো কতো দিনে
একটি দিনে দুধের বন্যা ফলের তা ধিন ধিনে ।
হাসপাতালে শিবের পাশে দুর্গা জাগেন রাতে  
আরোগ্য তাঁর ভিক্ষা করেন জোড়া উভয় হাতে ।