সত্যি বলছি নিজেই আমি পড়েছি কি ধন্দে
যাচ্ছি খুঁজে নিজের বাড়ি সকাল থেকে সন্ধ্যে l
বড়োরাস্তার পাশে নাকি পথ গিয়েছে বেঁকে
ডাইনে চলে বাঁয়ে চলে মানুষ চলে হেঁকে l
সেই যেখানে পুকুর পাড়ে অনেক গাছের সারি
বলছে সবাই ঐখানেতে আমার নাকি বাড়ি l
পাশেই আছে অফিস কতো আছে হাসপাতালও
সেসব কিছু খুঁজে খুঁজে হচ্ছি নাজেহালও l
রাস্তা পেলাম গলি পেলাম বাঁকা চোরা ঠিকই
ডাইনে গেছে বাঁয়ে গেছে চলছে হাঁকাহাঁকি l
পুকুর আছে ছোট বড়ো গাছের সারি সেটাও  
অফিস আছে কিন্তু বড়ো ঝুটঝামেলা মেটাও l
কিন্তু বাড়ি অন্য লোকের নিজের বাড়ি নয় তো
লোকগুলো সব অন্য রকম দেখেই চেনা যায় তো l
নিজের বাড়ি আপন কতো সেই টানেরই অভাব
এই বাড়িতে লোকগুলো যে অন্যরকম স্বভাব l


মাথায় চড়ে ঘর ছেড়েছি চার বাহকের সত্যি
চিতায় চড়ে গেছি পুড়ে থাকি নি এক রত্তি l
তাও বা ছিলো যতটুকু গঙ্গানদীর জলে
ছেলে আমার দিলো ছুঁড়ে ঐ নদীরই কূলে l
কতো সময় বয়ে গেলো হিসেব কে তার করে
একশো বছর নাকি হাজার কতো সময় পরে l
মাঝে মাঝে বাড়ির টানে নিজের হাতে করা
সেই টানেতে এসে পড়ি নিজের শহর পাড়া l
কিন্তু মিলন হয় না আমার নিজের কারো সাথে
সূক্ষ্ম আমি পথ হারিয়ে পথেই দিনে রাতে l