একটা ঘটনা ঘটলো -
ব্যাধের শরে মিথুনরত অবস্থায়
পুরুষ ক্রৌঞ্চ পাখি নিহত হল l
স্ত্রী ক্রৌঞ্চ আকাশ থেকে নেমে
নিহত সঙ্গীর পাশে বিলাপরতা l
তমসা নদীতে স্নানরত ঋষি বাল্মীকি
এই করুন দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেন l
ধনুক হাতে ব্যাধকে দেখে শোকে, ক্রোধে
ব্যাধকে অভিশাপ দিলেন ঋষিকবি l
অভিশাপ-বাক্য ছন্দ, অলংকারে প্রকাশ পেল,
শোক থেকে জন্ম নিল কবিতাসম শ্লোক l
"মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শ্বাশ্বতীঃ সমাঃ
যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমোহিতম্ l "
অনুবাদ -"হে ব্যাধ ! তুমি অনন্তকালে শান্তি পাবে না
তুমি হত্যা করেছ প্রেমে মগ্ন পাখি l"


নবরচিত শ্লোক বেদনাবিদ্ধ করল ঋষিকবিকে l
দেবর্ষি নারদের কথায় রামায়ণ রচনায়
কাজে এলো শোক থেকে উদ্গত শ্লোক l
স্ত্রী ক্রৌঞ্চের বিলাপ সীতা চরিত্রের ভাবনা দিলো,
আর ব্যাধের চরিত্র থেকে এলো রাবণ কল্পনা !
ঋষি কবি যা লিখলেন, রামের জীবনে তাই ঘটল l
ঘটনা, তার তীব্রতা, শোক, শ্লোক, কবিতা
শেষে জন্ম নিলো এক মহা কবিতা, মহাকাব্য l