চলেছি দুর্যোগে ভরা জীবনের পথে,
ক্লান্তিহীন ছুটে চলা সময়ের রথে।
শৈশব-কৈশোর ফেলে উদীপ্ত যৌবন,
সব দেখে মনে হতো অনন্ত মৌ-বন।
অবহেলে তাও ফেলে প্রৌঢ়ত্বের দ্বারে,
দৃষ্টি রেখে জীবনের শেষ পরপারে
অবিরাম চলা। দুগ্ধ ও জলের মত,
মিলেমিশে সুখ-দুঃখ চলে অবিরত।


স্মৃতির পাতায় এসে করে শুধু ভর,
ধুলো মলিন গ্রামের সেই খেলাঘর।
ইশারায় ডাকে ওরে আয় ফিরে আয়,
আয় ছুটে আয় ওরে আমার মায়ায়।
এখানে বটের ছায়া, হিজলের বন,
তোর পথ চেয়ে বসে আছে অনুক্ষণ।
পুকুরের হিম জলে ডাহুকের ডাক,
মাঝে মাঝে মনে এসে দিয়ে যায় হাঁক।
আম-জাম-কাঁঠালের মধু আবাহন,
হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে দারুণ মাতন।
সবুজ-শ্যামলে ভরা ফসলি জমিন,
বাতাসে দোলানো স্মৃতি আজো অমলিন।


সুমুখের পথ ডাকে, কেন থেমে যাস?
অতীতের কথা ভেবে কেন কষ্ট পাস?
বহতা নদী যেমন সাগরের পানে,
ভেঙেচুরে ছুটে যায় কী মায়ার টানে!
জীবনের গতিপথ নদীর মতন,
ছুটে চলে অহর্নিশি, ডাকে যে মরণ।
যতক্ষণ দেহে আছে বল, ছুটে চল,
এ ধরা রাখে না মনে যারা করে ছল।
জগতের বড়ো বড়ো রাজা-মহারাজ,
মানব কল্যাণে করে গেছে কত কাজ!
জনকল্যাণে জীবন দান করে যারা,
চিরকাল ধরণীতে বেঁচে রয় তাঁরা।
বন্যায় যেভাবে যায় খড়-কুটো ভেসে,
খল, ছল সেভাবেই নর্দমায় মেশে।


কে যেন চলন্ত পথে বলে যায় কানে,
কর্ম করো, খুঁজে পাবে জীবনের মানে।
কর্মের নিগড়ে বাঁধো জীবনের কাল,
মরণে জ্বালাবে কর্ম রঙিন মশাল।


২৭/০৫/২০২১ ইং