কেউ বলে যশ তোকে কেউ বা ইয়াস,
তোর ভয়ে বুক কাঁপে লাগে যে তিয়াস।
ওরে সর্বনাশী! তোর ক্ষোভের জ্বালায়,
রোগ-শোক-ক্ষুধা যেন নিমেষে পালায়।
ভেঙে হবে লণ্ডভণ্ড গরিবের ঘর,
ধনীরা আপন তোর, গরিব কি পর?
হে প্রকৃতি! তোর সৃষ্টি নিদারুণ রোষে,
কর্মহীন, অনাহারী আছে ঘরে বসে।
পড়বি তো এসে সেই গরিবের ঘাড়ে,
সব দুর্যোগ যাদের মহাসুখে মারে।
উৎকণ্ঠার ভান করে ধনী-নেতা ভাই,
করার মানসে বসে অনাশী জবাই,
অপেক্ষায় কেড়ে নিতে গরিবের ত্রাণ,
লুটেপুটে খেয়ে ওরা সুখে গাবে গান।


প্রশ্ন জাগে মনে ওরে ক্ষমতার রাজা,
স্বর্গে বসে সুখে তুই খাস বুঝি গাঁজা?
নানান দুর্যোগে মরে গরিব সকল,
সব রোগ-শোক দেয় ওদের ধকল।
অর্থবান, বিত্তবান সারা বারোমাস,
ঝড়-জল-বরষায় সুখে করে বাস।
ধর্মপ্রাণ তোকে বলে করুণার নিধি,
কেমন বিচার তোর বল না হে বিধি?
আল্লাহ, ঈশ্বর আর ভগবান নামে,
দুর্বল ও অসহায় বসে নিজ ধামে,
অহর্নিশি গায় শুধু তোর গুণোগান।
বিলাসী জীবনে মত্ত ওই বিত্তবান,
ভাবে না তো তোর কথা। কখনো বা ছলে,
ঢাকে-ঢোলে পূজা করে ফেলে দেয় জলে।
সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী ওহে ভগবান!
তুই বসে স্বর্গধামে করে যাস ভান?
তৈলাক্ত মাথায় তুই তেল দিয়ে যাস,
দেশের কল্যাণ চাষী খায় শুধু ঘাস।
কষ্টকর সব কর্ম ওরা করে যাবে,
ধনীরা আরামে বসে গুড়-মুড়ি খাবে?
এক চোখা নীতি তোর সয় না যে আর,
কী করে হয় রে তোর করুণা অপার!?
মানুষের মতো তুই আধিপত্যবাদী,
আমার দৃষ্টিতে তুই সর্ব অপরাধী।


২৫/০৫/২০২১ ইং