তোমরা যারা মানো নাকো আল্লাহ, ভগবান,
মৃত্যুকে রোধ করতে পারলে বলবো শক্তিমান।
করতে পারো বৃষ্টিকে রোধ?মেঘের আনাগোনা?
বসুন্ধরার গর্ভে দেখো কেমনে জন্মে সোনা।


একটি সূর্যের চারিপাশে নিজের কক্ষপথে,
অবিরত চলছে গ্রহ অদৃশ্য কোন রথে।
কোটি কোটি বছর ধরে চলছে একই ভাবে,
কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি কি তোমরা খুঁজে পাবে?


সৃষ্টির সেরা বলে তোমরা করছ তো খুব দাবি,
এক সারিতে দাঁড়ালে দশ খাচ্ছো ভীষণ খাবি।
সারিগুলো আঁকাবাঁকা বক্র তারের মতো,
তবুও তোমরা বুদ্ধিমত্তার জাহির করো কত!


দিনের বেলা সূর্যতাপে আমরা করি কাজ,
রাতের বেলায় জোছনা করে মনের মধ্যে রাজ,
রৌদ্রে পোড়া, ক্লান্তি ঝরা দেহ নিদ্রা চায়,
ক্লান্তি নাশি, শ্রান্তি নাশি রাতের স্নেহের ছায়।


কার ইশারায় পৃথ্বী ঘুরে হচ্ছে দিবা-রাতি?
রবির আলোয় আলোকিত চাঁদের জোছনা ভাতি,
দিচ্ছে মনে অমিয় সুখ, চোখে স্বপ্ন আঁকি,
তার-ই ইচ্ছায় সুখে-দুখে এই ধরাতে থাকি।


অদৃশ্য সেই শক্তিকে তো যায় না করা হেলা,
জীবন শুরু হওয়ার আগেই ডুবছে জীবন বেলা,
অথচ সেই শক্তি দেখো অনন্তকাল ধরে,
দিয়ে যাচ্ছে অযুত সেবা সৃষ্ট জীবের তরে।


৩১/০৮/২০২১ ইং