পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ওইপারে ডুবে গেছে চাঁদ,
এই পারে তমসায় তমাল তরুর তলে আমি
একাকী নিমগ্ন আছি। কী মধুর মোহময়ী যামী!
এ তো রাত নয়; যেন রজনীর মায়াময় ফাঁদ!!


দল বাধা জোনাকের নীল নীল আলোর ফোয়ারা!
চারিদিকে ঝিঁঝি পোকা ডেকে যায় সুমধুর সুরে।
পাখির কাকলি শুনি, শিয়ালের ডাক শুনি দূরে।
ভীষণ ব্যথায় কেঁদে কোন পাখি রাত করে সারা!


পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে জানা-অজানা অনেক ফুল,
সুগন্ধ বিলিয়ে যায়- ছিঁড়ে কেউ নেয় নাকো হাতে।
অপূর্ব পুষ্পিত শোভা হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রাতে।
পুষ্প শাখে ঝুলে থাকা পুষ্প যেন রমণীর দুল।


সুনির্মল বাতাসের পরশ যখন লাগে গায়ে,
মুছে যায় একাকীত্ব, জাপটে ধরে নির্মল সুখ।
ঘৃণ্য মানুষের মুখ ভুলে যাই, ভুলে যাই দুখ।
এসো, প্রকৃতির অনাবিল ছন্দে হাঁটি পায়ে পায়ে।


এসো, ভুলি জিঘাংসার লাভাস্রোত, অস্মিতার পথ,
দখিনা মলয় হয়ে মুছে দেই ঘামমাখা দেহ।
সবারে সবাই ভাবি প্রিয়জন- পর নয় কেহ,
কন্টক শয্যায় আঁকি ভালোবাসা- হোক না শপথ।


১৮/০৯/২০২২ ইং


প্রকৃতির সান্নিধ্য মানুষকে উদার করে দেয়। মানুষের মন থেকে মুছে যায় হিংসা, বিদ্বেষ এবং জন্ম নেয় অফুরান ভালোবাসা। সে কারণে কবিতাটির নাম দিয়েছি "আলোর দিশারী প্রকৃতি"।