চারিদিকে জল করে কোলাহল
আকাশে পূর্ণ চাঁদ,
চাঁদনী এ রাতে রুপালি জলের
মোহময়ী রূপ ফাঁদ।
দখিনা সমীর বহে যে সুধীর
পুলক প্রকাশে গায়,
মনের ভেতরে হারানো প্রেয়সী
কোথা থেকে আসে হায়!
দেখিনা যে মুখ মনে জাগে ভুখ
হৃদয়ে মেলিয়া ডানা,
পুরনো দিনের সুখ পাখিগুলো
অবাদে দিচ্ছে হানা।
মরাল যেমন মরালীর খোঁজে
এদিকে ওদিকে ধায়,
বিরহী এ মন তোমারই খোঁজে
আকাশের পানে চায়।
আজ কেন যেন সারা দিনমান
মনে পড়ে সেই মুখ,
স্মৃতির জানালা খুলে যায় যেই
সুখগুলি দেয় দুখ।
রুপালি জলের মৃদু মৃদু ঢেউ
হৃদয়ে জাগায় তান,
মনে পড়ে সেই পুরোনো দিনের
অমলিন মধু গান।
সেই হাসি মুখ সেই রাঙা ঠোঁট
জলের ভেতরে হাসে,
নয়নের জলে চাপা কান্নারা
কপোল বাহিয়া ভাসে।
মধু মাখা সেই মায়াময় রাতে
তরণীর পরে হেসে,
গান গেয়েছিলে মধুর স্বরেতে
আমাকেই ভালোবেসে।
'ভালোবাসি আমি পরান সখা হে'
সেই মধুময় সুর,
অমলিন আজো হৃদয় আমার
থাকো তুমি যত দূর।
মনে কি পড়ে না সেদিনের কথা
এমনি বর্ষা রাতে,
তরণীর পরে পাশাপাশি বসে
হাত রেখেছিলে হাতে?
কপোত যেমন কপোতীর সনে
নিরালায় বসে বসে,
মধুর প্রণয়ে বাঁধা পড়ে সুখে
অমিয় হাস্য রসে।
তুমিও তেমনি প্রণয় শিশিরে
সিক্ত করে এ ঠোঁট,
বাহুডোরে বেঁধে বলেছিলে প্রিয়ে
আমরা বেঁধেছি জোট।
কপোত কপোতী এখনো রয়েছে
গাইছে প্রণয় গান,
তুমি ছাড়া এই শূন্য খাঁচায়
ধড় আছে, নেই প্রাণ।
সেদিনের মতো আজি এ বাদলে
একাকী রয়েছি নায়,
আকাশে রয়েছে পূর্ণ চন্দ্র
বহিছে দখিনা বায়।
হাসি মাখা সেই দিনগুলো আজো
ঘুরে ফিরে আসে মনে,
তুমি নেই বলে চাঁদ তারা আর
হাসে না আমার সনে।
তুমি নেই বলে মধুর জোছনা
লাগেনা আমার ভালো,
তুমি ছাড়া এই জীবন আমার
আঁধার রাতের কালো।
১৮/০৮/২০২০ ইং