তোমার মৃত্যু দিত না কষ্ট, ভাবতাম নিয়তির খেলা,
মরেছে তোমার অন্তরাত্মা, পাচ্ছে কান্না মেলা।
আসবাবের মতো সুন্দর করে সাজাও মিথ্যের মালা,
মন্দিরে যাও অর্ঘ্য সাজিয়ে নিয়ে ঠাকুরের থালা।


কি হবে দিয়ে পূজার অর্ঘ্য?
এ ধরার বুকে রয়েছে স্বর্গ,
ভালোবাসা নামের নিঠুর পীড়নে জ্বালিয়ো না তুমি আর,
মিথ্যের পরে মিথ্যা সাজিয়ে কোরনা তো জেরবার।


মুকুলের মতো ছিলে তুমি যবে
ছিলনা তো কোন ছল।
পাঁপড়ি মেলেছ আকাশের গায়,
কুসুম সুবাসে অলিকুল ধায়,
ভুলেছ আমায় ধীরে--
তমসাঘন সিন্ধুতীরে ভাসি যে নয়ন নীরে।


জোয়ারের শেষে নদীতে যেমন আসে ভাটার টান,
ফাগুন রাঙানো যৌবন তেমন হয়ে যাবে খান খান।
তখন তুমি খুঁজবে আমায়,
নিকষ কালো আঁধার বেলায়,
ভাসবে নয়ন নীরে--
জীবন নদীর শেষ ঠিকানায় হাসবো আমি ধীরে।


তখনো তোমায় বাড়াবো এ হাত,
বন্ধ হলে আলোর প্রপাত,
সন্ধ্যার অনুরাগে--
মালাকার এসে পড়াবে মালিকা জীবনের শেষ ভাগে।
তোমার আমার মিলন হবে অস্তরবির রাগে।


০৩/০১/২০২১ ইং