আসুন আমরা জাগি সবাই গাহি সাম্যের গান,
ঐক্য গড়ে মিলেমিশে বাড়াই সবার মান।
বর্ণভেদের দারুণ জ্বালায় জ্বলছে হিন্দু সব,
ব্যক্তি স্বার্থে ব্যক্তি চিন্তায় করছে কলরব।


শোষণ বিষের জ্বালায় যারা জ্বলছে এতোকাল,
জ্ঞানের আলোক শিখায় তাদের কেটে গেছে তাল।
প্রতিরোধের বহ্নিশিখা জ্বলছে ঘরে ঘরে,
ভ্রাত্রি দ্রোহের সুযোগ নিয়ে ঋদ্ধ হচ্ছে পরে।


হাজার বছর ভাই ঠকিয়ে যারা ধনী আজ,
বুঝতে হবে ভাইয়ের কষ্ট, ছাড়তে হবে রাজ।
হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে এসো করি সমঝোতা,
মিলেমিশে একই অন্নে খুঁজি অভিন্নতা।


হিন্দু ধর্মে প্রচলিত হরেক রকম অর্চণ,
নব জ্ঞানের আলোকধারী চায় করতে সব বর্জন!
অর্ঘ্যধারী উপাসনায় শান্তি খুঁজে পায়,
নবীন জ্ঞানের মশালধারী করছে যে হায় হায়!


ভক্তিভরে আরাধনায় ভক্তের লাগে ভালো,
অহংকারী নব্য জ্ঞানী বলছে মিথ্যা কালো।
বন্দনা যার ভালো লাগে করুক  না সে তাই,
কারো ভালো না লাগলে কি থাকবে না সে ভাই?


একই মায়ের পাঁচটি ছেলে সবাই সমান যায়?
কেহ মোটা, কেহ লম্বা, কেহ খর্বাকায়।
কেহ ডাক্তার, কেহ উকিল, কেহ ব্যারিস্টার,
কেহ আবার মূর্খ থেকে করে ধর্মাচার।


পেশা, কর্ম ভিন্ন থাকায় ভাগ্য বদলে যায়,
তাই বলে কি রক্তের বাঁধন ছিন্ন হবে? হায়!
কর্ম-পেশা যাহার যেমন তাহার তেমন থাক না,
ভ্রাত্রি বন্ধন শক্ত করে অটুট ধরে রাখ না।


০৮/০৩/২০২১ ইং