রাজনীতি এখন পঁচা নর্দমা,
গালাগাল দিলেই হাততালি,
শুধুই বুলি কপচানো।


ঋত গৌরব পুনরুদ্ধারের আশায়
অনেকেই দামি পোশাক পরে
ভাগাড়ে নেমে পড়ে,
শকুনের মতো,
শকুন খোঁজে খাবার,
আর এরা খোঁজ করে জ্বলজ্বলে হীরে।
নর্দমার গন্ধ টের পায় না।
নাকে ন্যাপথলিন লাগিয়ে
দুর্গন্ধ আটকে রেখেছে।


স্বীয় রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য
যা খুশি তাই বলে বেড়ায়,
আধা উন্মাদ বা পুরো উন্মাদের মতো।
জনগণকে ভাবে নির্বোধ।
বোঝেনা, সব কথা জনগণ
মন থেকে মেনে নেয় না,
উল্টো গালাগাল দেয়,
পিতৃ-পিতামহদেবর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে।


একদল রাজনীতিক আদর্শের বুলি কপচায়,
মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলে
জঙ্গি আন্দোলন করে।
গৌতম বুদ্ধ, যিশু খ্রিস্টের মতো
শান্তির বাণী শোনায়।
অথচ ওরাই
প্রাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গে
অন্য নেতা বা দলের উপর
দোষ চাপানোর জন্য,
রাজনৈতিক ফায়দা লাভ করার জন্য।
নিজেদের কোন যোগ্যতা নেই,
বিশ্বাসযোগ্যতা নেই,
তাই স্বর্গীয় বিদ্যাসাগর তাদের হাতিয়ার।


জাতীয় রাজনীতি এবং নিরাপত্তার স্বার্থে
যখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী
তখন সুযোগসন্ধানী বিড়ালের মত,
নেকড়ে বাঘের মত,
একে অপরের ঘাড়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে,
নিন্দে করে,
মনে মনে নিজেকে বাহবা দেয়!
নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভাবে!
আসলে বুদ্ধির ঢেঁকি!


এসব রাজনীতিকরা
নর্দমার জঞ্জালের মতো,
দুর্গন্ধযুক্ত,
পরিত্যাজ্য।
এরা দেশের নিরাপত্তার জন্য
হুমকিস্বরূপ।
এরা আত্মবিস্মৃত উন্মাদ।


২৯/০৬/২০২০ ইং।