মৃত্যু? সে তো আসবেই আজ নয় কাল,
তার ভয়ে বলো কেন হও বেসামাল?
মরণের ভয়ে বলো কেন মরে যাও?
অকালে জীবন তরী সাগরে ডুবাও।
শাস্ত্রের অমোঘ বাণী- আত্মহত্যা পাপ।
দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ও অসহ্য সন্তাপ,
জীবন পাতায় এসে ভীষণ জ্বালায়।
তাই বলে আত্মহত্যা করা কি গো যায়?
মনুষ্য জীবন জেনো চির যুদ্ধক্ষেত্র,
সুখের আঙিনা হাসে, দুঃখে অশ্রু নেত্র।
বহু সাধনার পরে মানব জীবন,
সেই লালিত্য জীবন কর্মে অনুক্ষণ
ব্যস্ত রেখে পার করো যতদিন বাঁচো।
কর্মই অবশ্য ধর্ম তাই ভেবে যাচো
আরাধ্য স্রষ্টার কাছে নীরোগ শরীর,
আজীবন যুদ্ধ করো হয়ে শক্ত বীর।
স্টিফেন হকিন্স ছিল বিশাল বিজ্ঞানী
এ ছাড়া ছিলেন তিনি অসম্ভব জ্ঞানী।
অসুস্থ জীবন নিয়ে আজীবন কাল,
বিজ্ঞান সাধনা করে হয়েও নাকাল।
হুইল চেয়ার ছিল তার ঘর-দোর,
হারেনি কখনো তিনি, ফেলেনি তো লোর।
করোনার ভয়ে কেন মাতা হয়ে তুমি,
আপন সন্তান ভালে দিয়ে স্নেহ চুমি,
তাকে নিয়ে চলে গেলে ওই পরপারে?
এ কোন করুণ দশা দেখালে, আহা রে!
রোগ-শোক-জরা-ব্যাধি বলো নেই কার?
কে পেয়েছে এ জীবনে প্রশান্তি অপার?
সুখ-দুঃখ জীবনের গাত্র অলংকার,
তার সাথে যুঝে হতে হবে ভবপার।
তাই সকলের কাছে মিনতি জানাই,
মরণের পূর্বে কেউ মরো না কো ভাই।
রোগ-শোক-দুঃখ নিয়ে করে যাও কাজ,
তুমিও তো হতে পারো কোন মহারাজ।
হিমালয়ের সদৃশ্য হতে পারে শির,
মানবের সেবা করো হয়ে শান্ত ধীর।
রাজা হরিশ্চন্দ্র কিংবা দাতা কর্ণ হয়ে
শান্তি এনে দিতে পারো দখিনা মলয়ে।
আত্মহত্যা জেনো কোন সমাধান নয়,
অমূল্য জীবন কেউ করো না কো ক্ষয়।


১২/০১/২০২২ ইং


করোনা আক্রান্ত হয়ে ভয়ে ২৩ বছরের এক মা তার ছোট্ট শিশুসহ আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তেমন অসুস্থ ছিলেন না।