আজ রাস্তায় দেখলাম, একটি মেয়ে
          চরণ দু'টি তার টলছে।
জড়িয়ে ধরেছে তাকে একটি ছেলে
          কম্পিত পায়ে তারা চলছে।


দেখে মনে হলো তারা শরাবে মাতাল
          বা হাতে চুরুট টা ফুঁকছে।
বয়সটা বড়জোর আঠারো-উনিশ
          প্রাণটা এখনই তো ধুকছে।


মা-বাবায় পাঠিয়েছে পড়তে মেয়েকে
          এ আশায়, সে হবে ডাক্তার।
নেশা করে বাড়ি ফেরে ধরে যার হাত
          তাহার নাম হল আক্তার।


এ যুগের ছেলে-মেয়ে বড়ই স্বাধীন
          বাঁধা মানে না তারা মা-বাবার।
হয়ে একটু বড় হাব-ভাবে নড়বড়
          জানটা করে তোলে ভাগাড়।


কোন কথারই দাম নেই মা-বাবার
          যত বুঝাক তারা আদরে।
অবহেলে হাত নেড়ে বুঝায় তাদের
          তাদের কথা শুনে বাদরে।


স্কুলের বাঁধা পেরিয়ে, তারা গ্রাম ছাড়ে
          পড়তে আসে বড় কলেজে।
হাব-ভাব চলাফেরায় অতি উদ্দাম
          নিজেকে ভাবে বড় নলেজে।


দিন-রজনী তারা করে পার আড্ডায়
          সময়টা দেয় যে উড়িয়ে।
পরীক্ষা এলে পরে বুকটা ধড়ফড়ে
          রাতটা পার করে খুড়িয়ে।


পরীক্ষার ফল, বের হলে দেখা যায়
          ফেল করেছে সে সবটায়।
উহা দেখে মেয়েটি পড়ে যায় এলিয়ে
          বদ্যি আনে কেহ শেষটায়।


রোগী দেখে বদ্যি কয় হেসে একগাল
          বারতা দেখি বড় ভালো যে।
মধু মুখে মধু হেসে বলেন ডাক্তার
          অচিরেই হবে সে মাতা যে।


এ খবর ভালো নয়, মা সে তো কুমারী
          ফেরে রুমে মুখ করে ভার।
রাত শেষে দেখা যায় পরদিন প্রাতে
          রুমে তার দেয়া আছে দার।


পরিশেষে জানা যায় খবরটা এই
          মেয়েটি ঝুলেছে ঐ পাখাতে।
মা-বাবা ছিল তার গ্রামের বাড়িতে
          খবরটা শুনেছে সে রাতে।


হঠাৎ দুহিতার মৃত্যুর সংবাদে
          দম তাদের হয় যে বন্ধ।
মৃত্যু হয় তাদের স্বপ্ন, ভালোবাসার
          কেঁদে কেঁদে হয় তারা অন্ধ।


২৬/০৯/২০১৯ ইং।