ওরে মূঢ় মেয়ে! কী নেশায় ছুটে যাস
জ্বলন্ত অঙ্গার পানে!? ওরা ঠগ! ত্রাস!
লুটে নিয়ে সব মধু মধুকর সেজে
উড়ে যাবে নীলিমায়। তাকাবে না সে যে।
তুই রবি এ ধরায় হতাশের দলে,
খুঁজে খুঁজে মরে যাবি ফেলে চলে গেলে!
ওরা নিশাচর! যামিনীর তমসায়
ঢেকে ওদের পঙ্কিল মুখ, গেয়ে যায়
ভালোবাসার ছন্দময় সুন্দর গান।
দুর্বলের কাছে ওরা সাজে যে মহান।
ছলনায়, ক্ষমতায় ওরা বড়ো বীর,
ওদের রয়েছে বর্ম, তাইতো অধীর।
ক্ষনিকের মোহজালে বেঁধে তোর রূপ,
ওরা সাজে তোর মনে জগতের ভূপ।
পতঙ্গের মতো মেলে তোর কচি ডানা
কেন ছুটে যাস ওরে!? করি তোরে মানা।
গরিবের ঘরে তুই এক মুঠো সুখ,
তোর হাসি মুখ দেখে আমার অসুখ
সেরে যায় লহমায়। আয় ফিরে সোনা
দরিদ্র পিতার ক্রোড়ে। ওরা আবর্জনা!
ওরা গিরিগিটি! নিমেষে পাল্টায় রঙ,
ছলনার বিষ ঢেলে করে শুধু ঢঙ।
তোর মুখে এঁকে দিয়ে তমস্বান রাত,
উড়ে যাবে, তুই খুঁজে বেড়াবি প্রভাত।
যদি লেগে যায় ওরে কলঙ্কের দাগ,
মুছে যাবে ওই মুখের হাসি-সোহাগ।
গরিবের দুঃখ হবে তোর ওই মুখ,
আয় ফিরে, অন্যথায় পাবি শুধু দুখ।
১৬/০৯/২০২১ ইং