দুদিনের দুনিয়াতে কে বড়ো কে ছোটো?
বাঁশ দিয়ে কারে তুমি মুঠো ভরে লোটো,
হীরা-জহরত আরো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
মৃত্যুর শমন পেয়ে মুঠো রেখে ফাঁকা,
পরপারে চলে যাবে ফেলে লোটা ধন,
লেগে যাবে কাড়াকাড়ি প্রিয়-প্রিয়জন।
ধনের নেশায় যাবে লেগে মহারণ,
মৃত্যুর মিছিলে এসে দাঁড়াবে শমন।
বিপুল বিত্তের লোভে মাতা-পুত্র-কন্যা,
সবাই সবারে নাশে হবে তীব্র বন্যা।


গরিবের গৃহকোণে পড়ে থাকে সুখ,
জ্বালে না ধ্বংসের অগ্নি হিংসার অসুখ।
অভুক্ত পেটের জ্বালা তবু সহা যায়,
মনের দহন জ্বালা ভীষণ পোড়ায়।
পরশ্রীকাতরতার বিষম জ্বালায়,
বিবেক বর্জিত মন অর্থের মায়ায়,
বেঠিক পথের করে সবেগে সন্ধান।
ছেলের হাতের মোয়া হয়ে ধাবমান,
সুগম্য সহজ পথ দেয় এসে ধরা।
কেটে যায় অভাবের তীব্রদাহ খরা।


ধনের নেশায় বাড়ে লোভের আগুন,
দাবানল হয়ে জ্বলে বাসনা ফাগুন।
অতঃপর অমানিশা ধরে তারে ঘিরে,
বজ্রসম অপঘাত আসে নেমে শিরে।
পরপারে কিংবা জেলে নিয়ে অপযশ,
যেতে হয় ফেলে সব সুমধুর রস।
অর্থের অনর্থে ডোবে- জীবনের পথ,
সু-পথে উপার্জনের করো হে শপথ!
ক্ষনিকের এ জীবনে ছোট-বড়ো ভেদ,
আনে না অমিয় সুখ, বাড়ায় বিভেদ।
অসাম্যের রোষানলে দগ্ধ হয় বিশ্ব,
এভাবে গরিব হয় পৃথিবীতে নিঃস্ব।


২৭/১০/২০২১ ইং