হৃদয় বীণায় বাজে নাকো সুর ছিঁড়ে গেছে বাঁধা তার,
বিরহী এ মন খুঁজে তাকে যাকে ভালোবাসি অনিবার।
চারদিকে শুধু শকুনের দল বিষিয়ে দিয়েছে বায়ু,
পালন করছে যমের ভূমিকা কেড়ে নিয়ে শত আয়ু।


সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা পৃথিবীতে নেই মায়া,
শ্বাপদেরা হাসে বীভৎস হাসি দেখি নৃশংস কায়া।
তটিনীর বুকে কুলু কুলু ধ্বনি লাগেনা এখন ভালো,
নিভে গেছে আজ ভালোবাসা দীপ ঘিরেছে তমসা কালো।


সারাদিন শুনি শেয়াল-শকুন-হায়নার কলরব,
ভয়ে ভয়ে থাকে যুবতী, জননী থেমে যায় উৎসব।
থেমে গেছে বহা দখিনা সমীর ভুলেছে পাখিরা গান,
হাসি-খুশি মাখা শিশুরা ভুলেছে জুড়তে মধুর তান।


ক্ষুধার জ্বালায় শিশুরা কাঁদছে হাঁড়িতে চাপিয়ে জল,
গুমরে গুমরে কাঁদছে জননী করছে শুধুই ছল।
কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছে শিশু বিভোরে কাটায় রাত,
নির্ঘুম রাত কাটায় জননী গালে রেখে দুটো হাত।


ঘরের ভেতরে ক্ষুধারা জ্বালায় বাইরে বিপদ ঘোর,
ভূপতি-নৃপতি আরাম আয়েশে রজনী করছে ভোর।
ঘরের বাইরে নিরাপদ নয় জননী, দারিকা কেহ,
হায়না-নেকড়ে পেতে চায় শুধু তুলতুলে নারী দেহ।


সম্ভ্রম লুটে হায়না-নেকড়ে বক্ষ ফুলিয়ে চলে,
সুযোগ পিয়াসি নেতারা তখন চিৎকার করে বলে,
আমরা রয়েছি তোমাদের পাশে তোমরা আমার ভাই,
যাবো না তো ফিরে আপনার ঘরে বিচার যদি না পাই।


নির্বাচনের সময় এলেই নেতারা ঝুলায় মুলো,
নিত্য নতুন স্বপ্নে বিভোর নিরন্ন লোক গুলো।
পুরনো হলেই নেতারা যেমন ছুঁড়ে ফেলে দেয় জুতো,
ভোট ফুরোলেই তেমনি গরিবে ছলে বলে খায় গুতো।


গরিব মানুষে ধোঁকা দিয়ে দিয়ে নেতারা থাকেন সুখে,
অভাবী মানুষ অভাবেই থাকে হাসি ফোটেনা তো মুখে।
এমনি ভাবেই দিন কেটে যায় প্রতিদিন ওঠে রবি,
গরিব লোকের নিরন্ন মুখে ফোটে বেদনার ছবি।


০৫/১০/২০২০ ইং