নিঝুম রজনী সুপ্ত নগরী নির্ঘুম জেগে আমি,
ভাবনা আকাশে যাতনার মেলা হীরের চেয়েও দামি।
রাতের প্রহর একা একা জেগে ক্লান্ত হয়েছে শেষে,
নিভিয়ে দীপ্তি রজনীর শশী তমসার সাথে মেশে।


আমার আকাশে চাঁদ-তারা নেই, আছে হতাশার ঢেউ,
দানবের মতো গিলে খেতে চায় অজানা-অচেনা ফেউ।
আলো আলো বলে চিৎকার করি! তমসা নীরবে হেসে,
বলে, কেন ভাবো? আমাতে যাও না ভেলার মতন ভেসে।


দুঃখ হারাবে জৌলুস তার শিশিরের মতো ঝ'রে,
আসবে শান্তি আসবে সুপ্তি নিদাঘের পথ ধ'রে।
রজনীর শেষে তরুণ আলোর অরুণ উদয় হয়,
দুঃখ সাগর পাড়ি দিয়ে সুখ আসবেই নিশ্চয়।


আমি বসে ভাবি, জনক-জননী বৃদ্ধ হয়েছে যারা,
টানা পোড়েনের মাঝে পড়ে কেন হবে গো সর্বহারা?
তাদেরও তো আছে নির্ঝঞ্ঝাটে বেঁচে থাকা অধিকার,
জেদের আগ্নি দহনে কয়লা হবে কেন বার বার?


জননী জঠরে অবিঘ্নে থেকে দেখেছি আলোর মুখ,
দুঃখ-বেদনা মুছিয়ে জনক দিয়েছে অসীম সুখ।
তাদেরকে নিয়ে কেন চলে এতো নোংরা খেলার ঢল?
এ যেন ক্ষুব্ধ তটিনীর বুকে বেদনার কোলাহল!!


২৯/০৮/২০২২ ইং
রাত -৩ টা