ক্লান্তির উঠোন জুড়ে বেদনার ছাপ,
ভালোবাসা হেরে গিয়ে করে অনুতাপ।
যার ভালোবাসা পেতে ছেড়েছি স্বজন,
তাকে হারানোর জ্বালা কে বুঝে কখন!?
রৌদ্রের দহন জ্বালা বুঝে সে, যে যায়,
রোদে না গেলে বোঝার আছে কী উপায়!?
যৌবনের পাতা জুড়ে যার হাসি মুখ,
ভোলাতো মনের ব্যথা, অনন্ত অসুখ।
মৃত্যুর করাল থাবা তার দেহ জুড়ে,
গৃধ্রীর উল্লাসে খায় শুধু কুরে কুরে।
কুড়িটি বছর ছিলে হাতে রেখে হাত,
সুখে হাসি, বেদনায় নেত্রাম্বু প্রপাত।
আজ কেন চলে যাও ফেলে মধ্য পথে?
কী সুখে উঠিতে চাও অদৃশ্য ও রথে!?
রাশি রাশি ধুলিমাখা বেদনার পথ,
দুজনে কাটাবো সুখে ছিল যে শপথ।
ব্যথার কন্টক মালা পরায়ে এ গলে,
কোন মদিরার লোভে যাও তুমি চলে?
একবার ফিরে দেখো ফেলে আসা দিন,
স্বপ্নের সরণি বেয়ে হেঁটেছি স্বাধীন।
প্রণয়ের অপরাধে জননী আমার,
চিরতরে কেড়ে নিয়ে স্নেহের আধার,
রেখেছে বিচ্ছিন্ন করে অনেক বৎসর।
ভুলেছি তোমায় নিয়ে সে ব্যথার শর।
তুমিহীন এই আমি কোথা যাবো বল?
বেদনায় চোখে জল করে ছল ছল!
স্নেহের পুত্তলি ওই সৃজা সোনামণি,
তার ভালে কেন আঁকো বেদনার খনি?
গগন বিহনে কি গো জলদের শোভা,
ফুল বাগিচার মতো হয় মনোলোভা?
তুমি ছাড়া সৃজা আমি চন্দ্রহীন রাত,
ঘন কুয়াশায় ঢাকা ধূসর প্রভাত।
ফিরে এসো জয় করে শমনের রোষ,
অমলিন হাসি দেখে ফিরে পাবো জোশ।
আবার নতুন করে ফোটাবো ফাগুন,
পুরাবো দুহাত ভরে বাসনা আগুন।
দয়ার সাগর তুমি ওগো, ধর্মরাজ,
করুণ মিনতি করি করজোড়ে আজ।
এখনি নিও না কেড়ে প্রিয় প্রিয়ংবদা,
তোমার চরণে পূজা দিয়ে যাবো সদা।
শুধু আরো কিছুকাল রেখে যাও তারে,
মিনতি তোমার পায়ে করি বারে বারে।


১১/০১/২০২২ ইং


আমার এক বন্ধুর সহধর্মিনী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শয্যায় শায়িত। বন্ধুর চোখের জল আমাকে বিচলিত করেছে। তাদের জীবন নিয়ে দু চার কথা লেখার চেষ্টা করেছি।