তোমার ধর্ম তোমার কাছে আলোর অংশুমালী,
আমার কাছে ভয় ধরানো অন্ধকারের পেঁচা,
আঁধার রাতের মতোই আঁধারময়।
বিজ্ঞানের এই দুঃসময়ের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার
মুঠোফোনের মতোই ভয়ংকর।


আমার ধর্ম আমার কাছে দীপ্তি জ্বালা সূর্য,
আঁধার তাড়ায়, ছোটায় আলোর বন্যা।
কী যে লাগে ভালো!
মায়ের-বোনের সোহাগ মাখা জীবন পথের আলো।


তোমার কাছে হয়তো বা সে আঁধার গুহার মতো
ভয় ধরানো অমাবস্যা রাত!
সাপের মতোই ছোবল দিয়ে করবে কুপোকাত!


তাইতো বলি ধর্ম নিয়ে কেন বাড়াবাড়ি?
ধর্ম ব্যূহের চক্রজালে দিচ্ছি কেন আড়ি?
কেন তবে ভালোবাসা, মানবতা ছেড়ে,
রেষারেষির দোকানগুলো যাচ্ছে খালি বেড়ে?


পদ্মলোচন সব নারীদের আপন স্বামীর নাম।
পরের কাছে হতে পারে উগ্রমূর্তি যম,
হতে পারে ভগ্নদশা রুগ্ন নপুংসক।
ধর্মও ঠিক সবার কাছে তাই,
অন্যের ধর্ম নিয়ে কথা বলা যে বৃথাই।


তোমার ধর্ম থাক না তোমার; আমার ধর্ম আমার,
এসো সবাই হই না মানুষ; না হই যেন চামার।
সবার রক্ত একই রকম, একই ছাঁচে গড়া,
ক্ষুধায় সবার সমান কষ্ট দুঃখে অশ্রু ঝরা।
আগুন-হাওয়া, সূর্যকিরণ সবার সমান লাগে,
জল ছাড়া কি জীবন বাঁচে?
বাঁচে তরুলতা-পুষ্প সুশোভিত বাগে?


তবে কেন অনুভূতির অষ্টবক্র দাগ?
সমানভাবে ভেবে দেখো আসবে অনুরাগ।
আসবে স্নেহ-ভালোবাসা পরস্পরের টান,
হিংসা-ঘৃণার বিষের বাটি ভেঙে হবে খান।


২৩/০৪/২০২২ ইং