মদের নেশায় মত্ত হয়ে ফিরতো লোকটা ঘরে,
গালাগালি, মারামারি চলতো বউয়ের 'পরে।
ধৈর্যহারা হয়ে যেদিন করতো গিন্নি ফুস,
বেহিসেবি মাতালের ওই ফিরতো সেদিন হুঁশ।


গিন্নির উপর গোসসা করে যেতো চলে দূরে,
তুষের আগুন জ্বলতো দারার পূর্ণ হৃদয় জুড়ে।
খবর আসতো বরখানা ওর করছে আবার বিয়ে,
তড়িৎ বেগে ছুটে গিয়ে আসতো তাকে নিয়ে।


এমনি করেই তিন-চারবার করছে মাতাল শাদি,
মনের দুঃখে গিন্নি তাহার মরে ভীষণ কাঁদি।
ওই মাতালের একটি মেয়ে দুটি ছেলে আছে,
বিয়ে-শাদি হইছে তাদের মাতাল সুখে নাচে।


মদ খাওয়া তার হয়নি বন্ধ নিয়মিত খায়,
পচে গেছে লিভার টা ওর প্রাণ টা নিতি যায়।
ছেলে-মেয়ে স্বজন সবাই দূরে দূরে থাকে,
বউটা কাছে থাকে শুধু মন্দ ভাগ্যের পাকে।


আজ সকালে শমন এসে ধরলো চুলের মুঠি,
বললো হেসে, এবার চলো দিলাম তোমায় ছুটি।
তুমি মলে সরকার দেবে ওদের দু-লাখ টাকা,
দোজখ খানায় তোমার আসন আছে জেনো পাকা।


ছেলে-মেয়ে কেউ কাঁদে না বেঁচেছে হাফ ছেড়ে,
চিরদিনের সঙ্গীহারা বউটা কাঁদে ঝেড়ে।


২৭/০৩/২০২১ ইং