তোমার চতুর্দিকে নিঃসঙ্গতার অভেদ্য প্রাচীর
মন কেমনের সন্ধ্যা কাটে গভীর বিষণ্ণতায়
নিঃসঙ্গ চাঁদের মতো ভীষণ একাকী তুমি
স্বপ্নের উঠোন জুড়ে যার প্রদীপ্ত পদচারণা তিনি বেখেয়ালী
অথবা বলা যেতে পারে চক্ষুষ্মান অন্ধ
তোমার মনের ধূসর পাণ্ডুলিপি পড়ার সময় নেই তাঁর
তিনি ব্যস্ত আত্মপ্রচার ও প্রসারের চলন্ত সিঁড়িতে
পেছনে ফিরে তাকাবার সময় কোথায়?
সময় কোথায় কারো নিঃসঙ্গতার খবর নেয়ার?
তোমাকে দরকার শুধু ক্ষুধা নিবৃত্তি আর জৈবিক তাড়নার উপশমে
প্রত্যাশার চাদর বিছিয়ে বসে আছো তুমি
অপেক্ষার প্রহর সমাপ্ত হয় উপেক্ষায়
ভাবনার নীলাকাশে জুড়ে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ
তোমায় দেখলে কেবলই মনে হয় বিষন্নতার কুজ্ঝটিকায় ঢাকা ম্রিয়মান নদী
সুখের ঐশ্বর্য আছে কিন্তু সুখ নেই
কোমল ভালোবাসার ভীষণ অভাব তোমার
তাই মনের জমিনে পড়েছে মরা নদীর অজস্র চর
জেগে ওঠো হে মমতাময়ী নারী!
পাথরে ফুল ফোটাতে পারো তোমরাই
পাথর হৃদয়ে কেন পারবে না ফোটাতে কুসুম?
প্রাসঙ্গিক ক'রে তোলো আপন সত্তাকে
অবহেলার কৈলাস পর্বতে চালাও হাতুড়ি-শাবল


২৯/১০/২০২২ ইং