মাঝে মাঝে অনেক স্মৃতি জাগায় মনে ভিড়,
কষ্ট এসে বুকের মাঝে ধরায় ছোট্ট চিড়।
পথের পাশে ঘুমিয়ে আছে ছোট্ট ছেলে রুমু,
কুজ্ঝটিকা আলতো করে দিচ্ছে গালে চুমু।


শীতের রাতে নিরালাতে ইষ্টক মাথায় দিয়ে,
ফুটপাতে সে গভীর ঘুমে দুঃখগুলো নিয়ে।
চিন্তা রহিত নিদ্রাদেবী তাহার চোখে চুপ,
রবিরশ্মির করাঘাতে ফুটছে তাহার রূপ।


গায়ের রঙ তার গৌর বরণ টিকলো গড়ন নাসা,
পাখির ডাকে ভাঙে না ঘুম, ঘুমটি যে তার খাসা।
কত সুখে রুমু সোনা পথে নিদ্রা যায়,
লোকে তাকে টোকাই ডাকে খায় সে যাহা পায়।


ছল-চাতুরি করে মানুষ গড়ে টাকার পাহাড়,
নানা রোগের নিযুত জ্বালায় যায় না পেটে আহার।
রুমুর মতো পথের ছেলের কষ্টের সীমা নেই,
বাসি, পচা, পান্তা পেলেই নাচে যে ধেই ধেই।


রুমুর মতো হাজার ছেলে পথে পথে ঘুরে,
এঁটো-কাটা খেয়ে খেয়ে ঘুমোয় রাস্তা জুড়ে।
কারো একটু আদর পেলে হাসি ফোটে ঠোঁটে,
নির্ভরতা, বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে ওঠে।


ওদের দুঃখ-কষ্ট বোঝার নেই তো কোন লোক,
বাপ-মা কারো হারিয়ে গেছে নেই তো কোন শোক।
বেশি কিছু চায় না ওরা, চায় দুমুঠো ভাত,
ক্ষুন্নিবৃত্তি পূর্ণ হলে সুখে কাটায় রাত।


১৮/০৯/২০২০ ইং


(২৭/২৮ বছর আগে ঢাকার রাজপথে, ফুটপাতে ১০/১২ বছরের একটি ছেলেকে শীতের সকালে মাথার নিচে একটি ইট দিয়ে অঘোরে ঘুমোতে দেখেছিলাম। গায়ে ছিল একটি স্যাণ্ডো গেঞ্জি। শিশিরে তার সারা শরীর ভিজে জুবুথুবু। সেই অসহায়ত্ব আজও মনের ভিতর কষ্ট দেয়। উপশমের একটু চেষ্টা করলাম।)