ধর্ম দেখছি অনেক লোকের মাথা ব্যথার কারণ,
ধর্মটা কী বোঝার ক্ষেত্রে নেইতো কারো বারণ।
মন্দির কিংবা মসজিদে ওই ঢুকতে নারীর মানা,
মন্দির-মসজিদ কয়না কথা সবার কিন্তু জানা।


তবু সবাই দোষটা ধরে মন্দির-মসজিদ-ধর্মের,
স্রষ্টার সেরা জীব রয়েছে পিছনে এই কর্মের।
মন্দির-মসজিদ ছেড়ে সবাই ওদের ত্রুটি ধরো,
পুরনো সব নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম করো।


ধর্ম-পুস্তক, মন্দির-মসজিদ নেইতো কারো হস্ত,
আঘাত ওঁরা করেনা কেউ, পায় যে আঘাত মস্ত!
নিজের স্বার্থে নিয়ম বানায় মানুষরূপী শ্বাপদ,
নতুন নিয়ম সৃষ্টি করে দূর করো না আপদ!


ধর্ম বইতে অনেক থাকে ভালো ভালো বাণী,
ভণ্ড সাধু নিজের স্বার্থে উল্টো বুঝায় জানি।
তোমরা যারা বিজ্ঞ মানুষ ভণ্ডদের বাদ দিয়ে,
সঠিক পথে চালাও ধর্ম নিজ দায়িত্বে নিয়ে।


কিন্তু তোমরা সকল ক্ষেত্রে ধর্মের নিন্দা করো,
ভ্রষ্ট প্রথা সৃষ্টিকারীর দোষগুলো না ধরো।
বন্যা, খরা, ঝড়-বাদলে আসে নেমে ধ্বংস,
নিন্দাবাদী মানুষ তোমরা দাও না কাজে অংস।


হাত-পা বিহীন ধর্মের ত্রুটি ধরতে তোমরা ব্যস্ত,
অনেক লোকের ভাগ্যলিপি  তব হস্তেই ন্যস্ত।
নিজেদের দোষ খোঁজ একটু ধর্মের দোষ না ধরে,
ধর্ম থাকনা ধর্মের জায়গায় করো সম্মান ওঁরে।


০৭/০৯/২০২০ ইং।