চারিদিকে যেখানে নিঃসীম অন্ধকার
স্বার্থপরতার কণ্টকাকীর্ণ তটিনী ধাবমান
সেখানে আমার জীর্ণ ঘরে তুমি দীপাবলীর আলো
এ কালের অসংখ্য নারী বৃদ্ধ শ্বশুর-শ্বশ্রুকে মনে করে বোঝা
সেখানে আপন স্বাতন্ত্রে অনন্য তুমি
আমার এ ঘরে তুমি প্রস্ফুটিত ভোরের শিউলি
সুগন্ধ বিলিয়ে যাও প্রতিক্ষণে
যা চেয়েছিলাম পেয়েছি তার চেয়ে ঢের বেশি
আমি ভীষণ আপ্লুত
তোমার ভালবাসার ইন্দ্রজালে ঋদ্ধ আমি


খাবার টেবিলে যখন বাবার হাত ধুয়ে দাও
কিংবা বাবার জন্য বিশেষ কিছু রান্নার কথা ভাবো
যখন তুমি মায়ের সাজ-পোশাক নিয়ে ভাবো
তাদের অসুস্থতায় ভীষণ উদ্বিগ্ন হও
তখন আমি হাতে পাই আকাশের চাঁদ
আমার সংসার হয়ে ওঠে স্বর্গের নন্দন কানন
মা-বাবার জন্য কিছু করতে যখন উদগ্রীব হও তুমি
যখন বাতাসে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দাও নিজের অসুস্থতা
তখন মা-বাবার মুখে দেখি তৃপ্তির হাসি
আমি তখন অবগাহন করি টইটম্বুর সুখ সাগরে
অমাবস্যার ঘোর অন্ধকারেও আমার আকাশ উদিত হয় পূর্ণচন্দ্র
আমি ভুলে যাই অভাবের কথা
দুর্বল শরীরে উপলব্ধি করি সূর্যের প্রখর তেজ
আমার নীলিমায় তুমি এক ফালি রুপালি চাঁদ
তোমার নীলাভ আলোতে আমি স্নান করি রোজ


২৬/১০/২০২২ ইং