গদ্য কবিতা পল্লী বালার নগ্ন চরণে চলা,
মেঠোপথ দিয়ে হাসতে হাসতে উছল নৃত্য কলা,
বৃক্ষ শাখার পাখির সঙ্গে চোখে চোখে কথা বলা।


এলোমেলো চুল, অবিন্যস্ত রঙিন শাড়ির ভাঁজ,
মায়ের বকুনি বাপের আদরে দুষ্টুমি ভরা কাজ।
রবি ঠাকুরের মৃন্ময়ী যার নেইকো মোটেই লাজ,
যার অন্তরে প্রবেশ করতে লাগেনা তেমন সাজ।


পদ্য কবিতা পরিপাটি সাজে হাসি-খুশি এক নারী,
সাজানো-গোছানো ছন্দবদ্ধ অপ্সরা-কিন্নরী,
কুলুকুলু স্বরে সুরেলা ছন্দে ঝরনা ধারার বারি।


নিপুন হস্তে তুলির আঁচড়ে দুর্গাদেবীর রূপ,
নিজেকে পুড়িয়ে বিলিয়ে দেওয়া গন্ধ বিধুর ধূপ।
মধুময় রাতে রূপালী চাঁদের হৃদয় ভোলানো হাসি,
যার অন্তরে সহজে বাজে না মোহন মধুর বাঁশি।


গদ্য কবিতা লিখতে কবির হয় না তেমন কষ্ট,
মাত্রা ছন্দ মিলাতে গিয়েই পদ্যে সময় নষ্ট।
গদ্য কবিতা প্রকৃতির বুকে হেসে-খেলে পথচলা,
পদ্য কবিতা বসবার ঘরে মৃদু স্বরে কথা বলা।


গদ্যে-পদ্যে নেইতো দ্বন্দ্ব, দ্বন্দ্ব কবির মনে,
যাকে ভালো লাগে যাকে মনে ধরে ঘর বাঁধা তার সনে।


০৩/১০/২০২০ ইং


(ভিন্ন রকম ভাবনা এবং স্বাদের একটি কবিতা)