সকালে পত্রিকার পাতা খুলেই চমকে উঠলাম
আষাঢ়ের ঘনান্ধকার মেঘের মতো বিমর্ষ একটি মুখ
মনে হল, এখনি ঝরে পড়বে অবিরল বারিধারা
সদ্য ভ্রাত্রি হারা এক মহীয়সী নারীর মুখ
করোনার করাল গ্রাসে যিনি পাড়ি দিয়েছেন
না ফেরার দেশে--
মোচড় দিয়ে উঠলো বুকের ভেতরে
অনুভব করলাম স্বজন হারানোর বেদনা
পাশাপাশি চোখের সামনে ভেসে উঠলো
আরও অজস্র মুখ--
নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার বলি
সন্তানহারা কোন মায়ের মুখ,
স্বামীহারা সহধর্মিনীর বেদনার্ত মুখ,
সদ্য পিতৃহারা সন্তানের মুখ,
হায়না রূপি মানুষের কদর্য চেহারা,
মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করে যারা হাসে
বীভৎস হাসি--
কী পার্থক্য এই দু'ধরনের মুখের--!?
স্বজনহারানো এই মুখের আয়নায় কি
প্রতিবিম্বিত হয় ওইসব সর্বহারাদের মুখ?
একজনের বিমর্ষ মুখ দেখে কেঁদে ওঠে
সারাবাংলা
আর অন্যদের দুঃখ দেখে বিচিত্র হাসি ফুটে ওঠে
বৈচিত্রে ভরা দ্বিপদী জন্তুদের মুখে--
কেউ হাসে মিটিমিটি,
কেউ হাসে সোল্লাসে,
কেউ হাসে অট্টহাসি,
এটাই গণতন্ত্রের স্যাম্পল--
আমরা হারিয়ে যাচ্ছি স্বৈরতন্ত্রের


শ্বাপদসংকুল "গহীন অরণ্যে--"


১৬/০৫/২০২১ ইং