ধর্মের প্রতি যাদের নেই পক্ষপাত,
চরণে প্রণাম করি করে জোড় হাত।
মানব কল্যাণে যদি কোন ধর্মহীন,
অহর্নিশি ব্যস্ত থেকে কাটে তাঁর দিন,
তাকেই বলি যে আমি ধার্মিক মহান,
ধর্ম-বর্ণ ভেদহীন কৃতি গুণবান।
কর্মবীর মনে করে ভাবি তারে শুদ্ধ,
তাঁর কাঁধে কাঁধ রেখে করে যাবো যুদ্ধ।
আমার ধর্মকে যিনি নিন্দা করে রোজ,
অন্য ধর্মের থালায় করে ভুরিভোজ।
হোক না সে যতো বড়ো মহা গুণমণি,
তাকে আমি নর্দমার কীট বলে গনি।
নপুংসক, কাপুরুষ সেই সব জন,
গণিকার ওষ্ট চুমে তারা মহাজন।
পরের লেঙুর ধরে তারা বড়ো বীর,
পদানত হয়ে তারা উঁচু করে শির।
আত্মপরিচয় মুছে পরধর্মে সিক্ত,
বিষাক্ত বিষের চেয়ে তারা বড়ো তিক্ত।
ব্রিটিশের পদ চুমে ভুলেছে সম্ভ্রম,
পরের পিতাকে বলে পিতা হরদম।
"আমি হিন্দু" পরিচয় দিতে যার লজ্জা,
মেরুদণ্ডহীন তারা, বীর্যহীন মজ্জা।
বিবেকানন্দ ছিলেন বল বীর্যবান,
বলেছেন "হিন্দু আমি" করেনি কো ভান।
ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে আজীবন,
করেছে মানব সেবা হয়ে সে সুজন।
তাই তো পৃথিবীব্যাপী তাঁর নাম ডাক,
সবাই স্মরণ করে হয়ে শুদ্ধ-পাক।
যুগাবতার, তোমায় জানাই প্রণাম,
নির্ভীক চেতনা দিয়ে কুড়িয়ে সুনাম,
চলে গেছো পরপারে রেখে কুলাঙ্গার,
যারা সমাজের শুধু বিনষ্ট অঙ্গার।
বায়স পাখির মতো কা কা করে যায়,
পরশ্রীকাতরতায় জীবন ভাসায়।
ঘৃণিত সে নরাধম, শত ধিক তারে,
নির্বোধ, জারজ তাকে বলি বারে বারে।


১৩/০১/২০২২ ইং


গতকাল ছিল যুগাবতার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন! এই কবিতাটি সেই মহান ব্যক্তির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম।