তোমার দীপ্ত আলোক প্রভায় ঘুচায় আঁধার কালো।
সেই কথাটি মনে এলেই মন হয়ে যায় ভালো।
যখন ভাবছি তোমার প্রভায় আঁধার হবে দূর,
হঠাৎ এসে সামনে দাঁড়ায় বালক ক্ষুধাতুর।


শত ছিন্ন পোশাক গায়ে রুক্ষ মলিন মুখ,
হাত বাড়িয়ে বলছে বালক লাগছে ভীষণ ভুখ।
দশটি টাকা দাওনা আমায় পেটটা পুরে খাই,
ক্ষুধার জ্বালা সয়না আমার কোথায় বলো যাই?


সুধাই তারে নামটি কি তোর? থাকিস কোথায় বল?
বাদশা নামে ডাকে মায়ে ঘুমাই গাছের তল।
বাদশার কথায় মনটা আমার হয় যে ভীষণ ভারি,
এমনি করেই কত লোকে দিচ্ছে জীবন পাড়ি।


ধনী লোকের নেই তো অভাব টাকা কাঁড়ি কাঁড়ি,
সুখের জন্য আছে তাদের কত গাড়ি, বাড়ি।
গরিব লোকে পায়না খাবার ঘুমায় গাছের তলে,
রেলের পাশে ঘুমায় কেহ শঙ্কা পলে পলে।


শিক্ষার অভাব, বস্ত্রের অভাব জীবন নিকষ কালো।
ওদের ঘরে জ্বলেনা তো নিয়ন বাতির আলো।
হে প্রভাকর, দুঃখ, আঘাত সব করে দাও দূর,
সবার মনে উঠুক জেগে মানবতার সুর।


বৈষম্যের এই গোলক ধাঁধা যাক না সবই ধ্বসে,
আনন্দেতে মাতি সবাই সুখের স্বর্গে বসে।
বাদশার মতো হাজার শিশুর দূর করে দাও ক্ষুধা,
ধরার 'পরে উঠুক ভরে রাশি রাশি সুধা।


১৭/১১/২০২০ ইং