এই করোনা তোর কি কোন নেই রে লজ্জা শরম?
চোরের মতো ঢুকে পড়ে করিস মাথা গরম।
তোর কারণে ধরার বুকে জ্বলছে কত আগুন,
স্বপ্নে বিভোর যুবা-যূনীর নষ্ট হচ্ছে ফাগুন।


তোর কারণে ছেলে-মেয়ের জীবন হচ্ছে নষ্ট,
বাবা মায়ের বুকের ভেতর পাহাড় সমান কষ্ট।
পড়া-লেখা, খেলা-ধুলা উঠছে ওদের লাটে,
ভোর বেলাতেই ওদের সূর্য যাচ্ছে এখন পাটে।


স্বর্গে ওঠার রাস্তা যারা- গরিব, অনাহারী,
যাদের কষ্ট-ঘামে গড়া হাজার গাড়ি-বাড়ি,
তোর কারণে তারা মরে চিকিৎসাহীন রাস্তায়,
দারুণ সুখে বাবুদের মন তখন থাকে নাস্তায়।


বাবুদের নেই কোন অভাব আছে শীতল ঘুমে,
গরিব মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় চলছে হাওয়া চুমে।
ওত পেতে তুই দিব্যি আছিস বসে ঘরের দোরে,
বাইরে এলে ধরবি হঠাৎ দারুণ নেশার ঘোরে।


এমনিভাবে থাকতে ঘরে কার বা ভালো লাগে,
হয় চলে যা, নইলে এবার সব নিয়ে নে বাগে।
ধ্বংস করে এই ধরণী বানিয়ে দে রে শ্মশান,
মরে গেছে বাঁচার ইচ্ছে গাইছে মনে কু-গান।


সাম্যবাদী সন্ত্রাসী দেয় বাড়ি-ঘরে অগ্নি,
যৌন ক্ষুধার লালসাতে হচ্ছে বলি ভগ্নি।
এর ভেতরে তোর জ্বালাতন আর তো প্রাণে সয় না,
তোর কারণে উড়ছে কত প্রাণ পাখি ওই ময়না।


তোর কারণে জীবন এখন পদ্মপাতার বারি,
যা ভেগে যা, হে করোনা! একটু তাড়াতাড়ি।


১০/০৫/২০২১ ইং