ও বৌমা, শুনছো আমার শরীরটা আজ ভালো,
আজ সকালে দেখেছি যে ভোরের নবীন আলো।
হামাগুড়ি দিয়ে সূর্য উঠছে পূর্বাকাশে,
কী অপরূপ দৃশ্য সে যে! চোখের সামনে ভাসে।


হাসপাতালের বেডটা আমায় দিচ্ছিল খুব জ্বালা,
বলছিল মন-  বুড়ো খোকা সময় থাকতে পালা।
ঘুমের থেকে উঠে আমি বারান্দাতে যাই,
লাজ রাঙা ওই সূর্য দেখে আনন্দে হারাই।


আজকে আমার নেইকো কাশি নেইকো কোন জ্বর,
হাসপাতালের বেডটা আমার লাগছে বড্ড পর।
আর কটা দিন বাঁচবো মোটে নিয়ে চলো বাড়ি,
নইলে কিন্তু তোমার সাথে দেবো আমি আড়ি।


মা তো আমার চলে গেছে অনেক বছর আগে,
তোমার মুখেই 'মা'-কে খুঁজি দারুন অনুরাগে।
মায়ের স্নেহের আঁচল তলে হোক না জীবন শেষ,
মন থেকে দূর হয়ে যাবে হাসপাতালের রেশ।


কদিন হলো দেখতে পাই না দাদু সোনার মুখ,
ওটাই আমার দগ্ধবুকে মস্তবড়ো দুখ।
বলছি তোমায়, বৌমা আমায় নিয়ে চলো ঘরে,
বৌমা বললো, একটু বসো আসি জিজ্ঞেস করে।


সেই যে গেল-  বৌমা ফিরে এলো না তো আর,
বিছানাতে বসে বুড়ো ভাবছে পর'পার।
খানিক বাদে ডাক্তার এসে দেখলো বুড়োর নাড়ি,
কেউ জানে না কখন চলে গেছেন যমের বাড়ি।


২৯/০৮/২০২১ ইং